ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

আদানির সরবরাহ কমে লোডশেডিং বেড়েছে

আদানির সরবরাহ কমে লোডশেডিং বেড়েছে

.

 সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ০১:০২

যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে কমে গেছে বিদ্যুতের সরবরাহ। এতে গতকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বাংলাদেশে লোডশেডিং হয়েছে। আজ রোববার থেকে লোডশেডিং বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা যায়, ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্র আদানির। এর মধ্যে প্রথম ইউনিট বন্ধ হয় ৮ এপ্রিল। এতে সরবরাহ কমে ৭৬০ থেকে ৭৭০ মেগাওয়াটে দাঁড়ায়। এ ইউনিট থেকে এতদিন গড়ে ১৩৬০ থেকে ১৩৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলছিল। গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিট। এতে আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সমকালকে বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর প্রথম ইউনিট চালু হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে তিন-চার দিন লাগতে পারে।
পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, আদানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঘাটতি মেটাতে গ্যাসের কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বুধবার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৮৮০ মেগাওয়াট। সেদিন সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয় ২২৪ মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার ১৩ হাজার ৫৮৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে লোডশেডিং ছিল ৮০। শুক্রবার চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ১৪৭ মেগাওয়াট, লোডশেডিং তেমন ছিল না। শনিবারও লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিনেই লোডশেডিং হয়। বেলা ৩টায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ৪২৮।
আদানির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ 
কেনার চুক্তি রয়েছে পিডিবির। নানা অভিযোগের কারণে চুক্তিটি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের একটি কমিটি কাজ করছে। বিদ্যুৎ বিক্রির প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাবে আদানি, যা আদায়ে বারবার তাগাদা দিচ্ছে। গত বছর একবার সরবরাহ বন্ধও করেছিল।

আরও পড়ুন

×