মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের চুক্তি সই

ছবি: পিআইডি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ২২:৪১
দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বন্দর নির্মাণ চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং জাপানের দুটি শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পেন্টা-ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও টিওএ করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এ চুক্তি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় (ঋণ) সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত হবে। অর্থায়নের পাশাপাশি জাইকা প্রকল্পটির নকশা, পরিবেশগত দিক এবং পরিচালন দক্ষতা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নিশ্চিত করতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
চুক্তিতে সই করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান এবং পেন্টা-ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার টোমোকাযু হেসগাওয়া।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি শুধু একটি অবকাঠামো প্রকল্প নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত বিনিয়োগ। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর চালু হলে বড় জাহাজের ধারণক্ষমতা বাড়বে। বিদ্যমান বন্দরগুলোতে যানজট কমবে, সরবরাহ শৃঙ্খলা আরও গতিশীল হবে এবং কক্সবাজার-মহেশখালীর নতুন শিল্পাঞ্চলে সরাসরি প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও ট্রান্সশিপমেন্ট হাবে পরিণত হবে।
এ সময় জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি বলেন, এটি শুধু একটি চুক্তি স্বাক্ষর নয়, এর মাধ্যমে একটি রূপান্তরমুখী যাত্রার শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের উপমিশনপ্রধান নাওকি তাকাহাশি প্রমুখ।
- বিষয় :
- চুক্তি সই