ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন, আইসিটির প্রজ্ঞাপন জারি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যক্তি ও সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যাবে

সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন, আইসিটির প্রজ্ঞাপন জারি

ফাইল ছবি

 সমকাল প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫ | ০১:২২ | আপডেট: ১২ মে ২০২৫ | ০১:৩৩

রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ জারি করেন। গত শনিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।

সংশোধিত গেজেটে বলা হয়েছে, কোনো সংগঠন, অর্থাৎ কোনো রাজনৈতিক দল অথবা সেই দলের অধীনস্থ, সংশ্লিষ্ট বা সহযোগী কোনো সত্তা, অথবা এমন কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠীকে বোঝায়, যা ট্রাইব্যুনালের অভিমত অনুযায়ী, ওই দল বা সত্তার কার্যকলাপ প্রচার, সমর্থন, অনুমোদন, সহায়তা বা সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জড়িত থাকে।

সংগঠনের জন্য শাস্তির ক্ষেত্রে বলা হয়, এই আইনে বা তৎকালীন প্রযোজ্য অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, কোনো সংগঠন এই আইনের ৩ ধারার উপধারা (২) অনুযায়ী উল্লিখিত অপরাধগুলো করেছে, তাহলে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, নিবন্ধন, লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল 

করার এবং তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রাখবে।
এর আগে শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। দলটিকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা না হলেও, মানবতাবিরোধী অপরাধে আওয়ামী লীগের বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও সংশোধন করা হয়েছে।

সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি ও সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ
সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। 

গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং এর কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।
তাতে সরকার কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে যুক্তিসংগত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে ওই ব্যক্তিকে তপশিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তপশিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে। তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। 
বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন করা প্রয়োজন। এমন প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় বিষয় যুক্ত করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।

 

আরও পড়ুন

×