ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আদালতে বিমর্ষ পলক, গল্পে ছিলেন সালমান-আনিসুল

আদালতে বিমর্ষ পলক, গল্পে ছিলেন সালমান-আনিসুল

সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক

ইমরান হুসাইন

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫ | ১৭:৩৬ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ | ১৭:৪৪

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকসহ সাতজনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এর আদালত এ আদেশ দেন। 

গ্রেপ্তার দেখানো অন্যরা হলেন- গাজীপুর মহানগরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, আওয়ামী লীগ কর্মী মোক্তার হোসেন চোকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও আসাদুজ্জামান রাজন।

সালমান এফ রহমানকে গুলশান থানার দুটি ও মিরপুর থানার এক মামলায়; আসাদুর রহমান কিরণকে উত্তরা পূর্ব থানার দুটি; আনিসুল হক ও জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে মিরপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া মোক্তার হোসেন, শাহে আলম মুরাদ ও আসাদুজ্জামান রাজনকে কাফরুল ও নিউমার্কেট থানার পৃথক তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

কাঠগড়ায় ৩৩ মিনিট

সকাল ৯টার দিকে কারাগার থেকে হাজতে নেওয়া হয় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকদের। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে তাদের একে একে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট, হাতকড়া পরানো ছিল। 

কাঠগড়ায় প্রথমে আনিসুল হক, মাঝে সালমান এফ রহমান ও পেছনে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ান। ১০টা ৪০ মিনিটে তাদের হেলমেট ও হাতকড়া খুলে দেয় পুলিশ। এ সময় আনিসুল হক ও জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। আর এজলাসে বিচারক আসার আগ মুহূর্তে সালমান এফ রহমানসহ প্রত্যেকে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে থাকেন। 

১০টা ৪৫ মিনিটে এজলাসে আসন গ্রহণ করেন বিচারক আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ। বিচারক এজলাসে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলা থামিয়ে দেন তারা। এ সময় বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। 

মিরপুর থানার একটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তারের আবেদন করে পুলিশ। ১০টা ৪৯ মিনিটে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করলে না সূচক মাথা নাড়ান আনিসুল হক। এরপর আদালত চলাকালে নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় আনিসুল হককে। তবে ১১টা এক মিনিটে বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন গল্পে মাতেন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান। এ সময় বিচারক তাদের দিকে তাকাতেই থেমে যান তারা। তবে আদালতের কাঠগড়ার ৩৩ মিনিট বিমর্ষ ছিলেন জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অন্যান্যদিন আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও এদিন চুপ ছিলেন তিনি। কাঠগড়ায় অন্যদের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সকাল ১১টা ১১ মিনিটে বিচারিক কার্যক্রম শেষে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারক। 

আদালতে পলক ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি), দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে উন্নয়নের দর্শন এবং জাতীয় সংসদে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক- এই পাঁচ বই চান।

পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন সমকালকে বলেন, ‘জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এখন আইনের বই পড়ছেন। তিনি পেশায় আইনজীবী। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি উচ্চ আদালত এবং জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করতেন।’

আরও পড়ুন

×