সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫ | ১৭:২৮
সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু ও গাজীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কাজী শফিকুলসহ ১০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- শামসুল আরেফিন, সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের স্ত্রী ডাক্তার মির্জা নাহিদা হোসেন, গাজীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমের স্ত্রী জিনিয়া ফারজানা, কন্যা কাজী আরিয়া বিনতে শফিক ও কাজী আনুষা বিনতে শফিক। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রীর এপিএস আনম আহমাদুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী হাকিমুন নাহার।
সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ৬ কোটির বেশি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনকভাবে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা লেনদেনের জন্য মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত মামলা চলমান। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
এছাড়া মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান নাসির হোসেন লিপু ও শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মিল্কভিটার বিভিন্ন প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন বন্ধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা প্রয়োজন।
কাজী শফিকুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে এবং তারা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
আনম আহমাদুল বাশার ও তাঁর স্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের বিদেশ গমন রোধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা প্রয়োজন।