‘হুজ হু ২০২০’ সম্মাননা পেলেন ১১ গুণীজন

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:৩২ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ২২:৪৭
শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১১ গুণীজনকে সম্মাননা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন 'হুজ হু'। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও হুজ হু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। এ সময় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও হুজ হু বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী নাজিনুর রহিমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- শিক্ষায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, শিল্প ও সংস্কৃতিতে মুস্তাফা মনোয়ার, সাংবাদিকতায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, শিল্প ও সাহিত্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সমাজসেবক খন্দকার মহিউদ্দীন, ক্রীড়ায় জোবেরা রহমান লিনু, কৃষিতে পূর্বাঞ্চলের কৃষক জাগরণের নায়ক মো. আব্দুল বাসির বদু মিয়া, শিল্প-বাণিজ্যে আবদুল হালিম পাটোয়ারী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুল হালিম পাটোয়ারী, উদ্যোক্তায় অরর্চাড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক, নারী উদ্যোক্তায় বিবি রাসেল এবং দেশের বাইরে অবদান রাখার জন্য কণ্ঠযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেনু।
অনুষ্ঠানে শিল্প ও সাহিত্যে সম্মাননাপ্রাপ্ত বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান বলেন, আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ, সবসময়ই কাজ করার চেষ্টা করি। এমন একটি সম্মাননা পাওয়ায় আমি খুবই অভিভূত।
টেবিল টেনিস সম্রাজ্ঞী খ্যাত জোবেরা রহমান লিনু বলেন, হুজ হু কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মডেল ও ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল বলেন, কখোনোই আমার কোনো কাজে নেগেটিভ বাংলাদেশকে খুঁজে পাবেন না। আমি বিশ্বের সেরা ডিজাইনারদের তালিকায় স্থান পেয়েছি। কিন্তু আমি মানে শুধু আমি না, পুরো বাংলাদেশ। আমি বিশ্বাস করি সুযোগ দিলেই নারীরা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সম্মানিত জায়গায় পৌঁছে দেবে।
সাংবাদিকতায় সম্মাননা পাওয়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, এই মাসটি শুধু বিজয়ের নয়, বেদনারও। কারণ এই মাসে বিজয়ের আগ-মুহূর্তে হত্যা করা হয়েছিল দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদের। আর ৭৫ এ যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, তারা এখনও সক্রিয়। তাদের বিষয়ে সবসময়ই সাবধান থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষক জাগরণের নায়ক মো. আব্দুল বাসির বদু মিয়া, অরর্চাড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক ও সমাজসেবক খন্দকার মহিউদ্দীনও নিজেদের বক্তব্যে হুজ হু'কে ধন্যবাদ জানান।
অন্যদিকে অনিবার্য কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি শিক্ষায় সম্মাননা পাওয়া জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন। এছাড়াও অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি মুস্তাফা মনোয়ার ও কণ্ঠযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেনু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেন, আজ যারা আমাদের মাঝে এসেছেন, এই সম্মাননা দিয়ে তাদের কোনো লাভ হবে না। কারণ তারা প্রত্যেকেই এক একটা নক্ষত্র। সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা ও ৩ নারী স্থান পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত।
হুজ হু ১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের অনুসরণীয় গুণীজনদের পদক প্রদান ও সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৩৩ হাজার গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে হুজ হু। ২০১৬ সালে প্রথম হুজ হু বাংলাদেশে গুণীদের সম্মাননা দেওয়া শুরু করে।