ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা: দুই আসামির খালাস চায় আসামিপক্ষ

হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা: দুই আসামির খালাস চায় আসামিপক্ষ

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২১ | ০৭:০৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদের খালাস চায় আসামিপক্ষ। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীনের আদালতে রোববার আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে এ আর্জি জানান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, এ দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে নিহতের পরিবার কিছু বলেনি। এ আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। পুলিশের রিমান্ডে তাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। তাই তাদের খালাসের আবেদন জানিয়েছি।

এ মামলার আসামিরা হলেন-জেএমবি সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। এর মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। তারা দু'জনই ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সালাহউদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ পলাতক। আর হাফিজ মারা গেছেন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

ওই হামলার পর ২২ দিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ুন আজাদ। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১২ আগষ্ট মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। হত্যা মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

×