ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আবার উত্তপ্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

আবার উত্তপ্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

অধিকার সুরক্ষা পরিষদের ব্যানারে মঙ্গলবার দুপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল বের করা হয়- সমকাল

রংপুর অফিস

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:০৪

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে আন্দোলন কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধিকার সুরক্ষা পরিষদের ব্যানারে মঙ্গলবার দুপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করে 'স্বৈরতান্ত্রিক' নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সময়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।

মিছিল শেষে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ড. মতিউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি উন্মুক্ত জায়গা। এখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করবে। কিন্তু উপাচার্য একটি সামরিক ফরমান জারি করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অঘোষিত ১৪৪ ধারা জারি করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছেন। উপাচার্য যে ফরমান জারি করেছেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যারা ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের উপাচার্যের বাসভবন ও প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এখানে ঝুঁকিপূর্ণ কাদের বলা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। উপাচার্যের এ অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা অবৈধ নির্দেশনা ভাঙলাম এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।

এদিকে উপাচার্যের অগণতান্ত্রিক নির্দেশনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট রংপুর জেলা। সমাবেশে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নগর কমিটির সভাপতি ও বেরোবি শাখার সাবেক সভাপতি যুগেশ ত্রিপুরা, নগর কমিটির সহসভাপতি প্রহল্লাদ রায়, ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আবু মো. সালেহ শিহাব, ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী) নগর আহ্বায়ক সাজু বাসফোর, ছাত্র ফ্রন্ট বেরোবি শাখার সভাপতি রিনা মুরমু প্রমুখ।

যুগেশ ত্রিপুরা বলেন, বেরোবি হলো রংপুর অঞ্চলের মানুষের লড়াই সংগ্রামের ফসল। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে উপাচার্যরা একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিলতা নিরসন হচ্ছে না। শিক্ষকদের দলীয় কোন্দলের কারণে অনেক বিভাগে সেশনজট প্রকট হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আজ জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এসব সংকটের জন্য উপাচার্যের ধারাবাহিক অনুপস্থিতি ও কিছু শিক্ষককে দায়ী করেন তিনি।

এদিকে, সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের প্রশাসক অধ্যাপক নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা-সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিষয়টিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। 

এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে এবং ভবনগুলোর সামনে মিছিল-মিটিংসহ অন্যান্য কর্মসূচি দিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন

×