ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

এমবিবিএস ভর্তি: প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন হবে ভিন্ন

এমবিবিএস ভর্তি: প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন হবে ভিন্ন

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৯ | ০৮:১৮ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | ০৯:৪৫

নতুন পদ্ধতিতে আগামী ১১ অক্টোবর একযোগে দেশব্যাপী ১৯ কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাত্র দুই পাতার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এ বছর। এতে কোনো সেলাই নেই। আর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র হবে ভিন্ন। অর্থাৎ ৭২ হাজার ৯২৮ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ৭২ হাজার ৯২৮টি প্রশ্ন হবে। 

ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আগে ওএমআরসহ প্রশ্নপত্র ছিল আট পৃষ্ঠা। এটা সেলাই করার জন্য ১২ থেকে ১৪ জন মানুষকে আনতে হতো। এবার প্রশ্নপত্র ওএমআরসহ দুই পৃষ্ঠা করা হয়েছে, এতে কোনো সেলাই নেই। আগে প্রশ্নের চারটি সেট থাকলেও এবার কোনো সেট থাকবে না। এবার প্রত্যেক পরিক্ষার্থীর জন্য হবে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নপত্র। তবে প্রশ্নপত্রের বিষয়বস্তু থাকবে একই। বিন্যাস হবে পুরোপুরি আলাদা। প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে চারটি উত্তরও ভিন্নভাবে সাজানো থাকবে।'

প্রশ্নপত্র প্রণয়নে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ফাঁস হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু। এ সময় তিনি বলেন, 'প্রশ্নপত্র পাঠানোর জন্য ট্রাঙ্কের সাথে সংযুক্ত ট্র্যাকিং ডিভাইস ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তৎপরতা ও নজরদারি জোরদার করেছে। সাইবার-ক্রাইম প্রতিরোধ এবং পরীক্ষার আগের দিন রাত ১০টা থেকে পরীক্ষার দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।'

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিদর্শনকারী টিমসহ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, হেডফোন, ব্লুটুথসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার দিন সকাল ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু বলেন, এ বছর সরকারি ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৬৮ আসন ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছয় হাজার ৩৩৬ আসনসহ মোট ১০ হাজার ৪০৪ আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। এসব আসনের বিপরীতে মোট ৭২ হাজার ৯২৮ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছে। যা গত বছরের তুলনায় সাত হাজার নয়জন বেশি। ঢাকা মহানগরের পাঁচটি কেন্দ্রের ১১টি ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৯৮৫ পরীক্ষার্থী এবং ঢাকার বাইরে ১৫ জেলায় ৩৬ হাজার ৯৪৩ পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্‌, ওভারসাইট কমিটির সদস্য ও কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×