ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

এসএসসির প্রথম দিনে কেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

এসএসসির প্রথম দিনে কেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের ভিড়। ছবি: মামুনুর রশীদ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ১০:০২ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ১০:১০

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর রোববার শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে ঢাকার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। এতে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। আর পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে মানা হয়নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি।  

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয় ও মতিঝিল সরকারি বালিকা কেন্দ্রের সামনে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জটলা তৈরি হয়। এ সময় অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কার্যত উধাও হয়ে যায়।

মতিঝিল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষা শেষে কথা হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক পরীক্ষার্থীর মা আমেনা রহমানের সঙ্গে। তিনি সমকালকে বলেন, ‘যতই স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলেন না কেন, যার সন্তান পরীক্ষা দেয় সে-ই বুঝে পরীক্ষা শেষে সন্তানকে পাওয়ার ব্যাকুলতা। এ জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয় না।’

মগবাজারের প্রভাতী উচ্চ বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রের সামনেও পরীক্ষা শেষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। ওই বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে সব সময়ই কেন্দ্রের বাইরে ভিড় হয়। কিন্তু এবারের ভিড়টা একটু বেশি মনে হচ্ছে।’

পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: মামুনুর রশীদ


এর আগে মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং কেন্দ্রের বাইরে অযথা ভিড় না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই। একটি চক্র গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তাতে কেউ কান দেবেন না। গুজব ছড়ালে কিংবা প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর করোনার কারণে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিলম্বে হচ্ছে। আগামী বছর এত বিলম্ব না হলেও যথাসময়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ অবস্থায় থাকলে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষায় খুব বেশি বিলম্ব হবে না। আশা করছি, মে-জুন নাগাদ এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।’

পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে প্রচণ্ড ভিড়। ছবি: মামুনুর রশীদ



এবার মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৮ হাজার ৪২২ এবং ছাত্রী ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯১ জন। এবার তিন হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রোববারের পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৮৮৪ জন, চট্টগ্রামে ১৯৪, রাজশাহীতে ৪৬৩, বরিশালে ১৭২, সিলেটে ১৪৮, দিনাজপুরে ৫৯৭, কুমিল্লায় ৬০৭, ময়মনসিংহে ৩১২ ও যশোর বোর্ডে ১৭১ জন। এবার মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে দুই লাখ ৫১ হাজার ৫৬০ জন।

আরও পড়ুন

×