ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সুগন্ধা ট্র্যাজেডি

দায়ী চালক-কর্মীরা, আগাম সতর্কতায় ২৫ সুপারিশ

দায়ী চালক-কর্মীরা, আগাম সতর্কতায় ২৫ সুপারিশ

ছবি: ফাইল

অমরেশ রায়

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ | ১৪:৫১

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রাবাহী লঞ্চ 'এমভি অভিযান-১০'-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের জন্য লঞ্চটির চারজন মালিক, মাস্টার ও চালকদের দায়ী করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, লঞ্চের মালিক, মাস্টার-চালকসহ পরিচালনায় যুক্ত কর্মীরা এর জন্য মূলত দায়ী। এক্ষেত্রে সদরঘাটে কর্মরত নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তিন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা করেছেন। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ২৫ দফা সুপারিশ ও করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।

গত সোমবার রাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন।

এই তদন্ত প্রতিবেদন আজকালের মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবেন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার নৌ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে যাদেরই দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সমকালকে জানিয়েছেন, গত সোমবার রাতে মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এটি নৌ প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। তবে সংবাদ সম্মেলনের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নৌ প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রতিবেদন ও এর সুপারিশ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে সম্মত হননি তিনি।

ঢাকা-বরগুনা নৌপথের ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী 'এমভি অভিযান-১০' লঞ্চে গত ২৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। আগুনে দগ্ধদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দুর্ঘটনার দিনই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল ইসলামকে আহ্বায়ক ও উপসচিব আমিনুর রহমানকে সদস্য সচিব করে গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। পরে এর মেয়াদ পরে আরও তিন কার্যদিবস বাড়ানো হয়।

ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন গঠিত এ দুটি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা পড়েনি।

মালিক-চালক-মাস্টারদের দায়: মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এতে অগ্নিকাে হতাহতের জন্য লঞ্চটির চার মালিক, মাস্টার ও চালকদের দায়ী করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাট অতিক্রম করার পর ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়। ইঞ্জিনের ত্রুটি সারতে ব্যর্থ হওয়ায় লঞ্চটি নিরাপদ কোনো ঘাটে আগেই ভেড়ানো উচিত ছিল। অনেক যাত্রী লঞ্চটি ভেড়ানোর অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু মাস্টার ও ইঞ্জিনচালক এ বিষয়ে কর্ণপাত না করে ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চটি চালাতে থাকেন। পরে আগুন লাগার পর লঞ্চটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়নি। এ অবস্থায় আনুমানিক ১৫ মিনিট চলার পর ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর বাটারাকান্দা গ্রামে নদীর পাড়ে লঞ্চটি ভেড়ে। এখানেই লঞ্চের প্রথম শ্রেণির ইঞ্জিনচালক মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় শ্রেণির ইঞ্জিন ড্রাইভার আবুল কালাম ও কর্মর গ্রিজাররা (ইঞ্জিন কক্ষের সহকারী) পালিয়ে যান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নোঙর করা বা লঞ্চটি বাঁধার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া সত্ত্বেও সে চেষ্টা করা হয়নি। ফলে জোয়ারের কারণে লঞ্চটি আবারও মাঝ নদীতে চলে যায়। লঞ্চটি পুড়তে পুড়তে প্রায় ৪০ মিনিট পর নদীর অপর পাড়ের দিয়াকুল গ্রামে ভেড়ে। এ সময়ে অনেক যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হন, অনেকে নদীতে লাফ দেন।

আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলে লঞ্চটি চর বাটারাকান্দায় ভেড়ানোর স্থানে বাঁধলে বা নোঙর করা হলে হয়তো আগুনের তীব্রতা এত বৃদ্ধি পেত না। এত যাত্রীর প্রাণহানিও ঘটত না। এ কারণে তদন্ত কমিটি একই সঙ্গে দুই মাস্টার রিয়াজ শিকদার ও খলিলুরকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছে। কারণ তারাই ইঞ্জিনের সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েও লঞ্চটিকে নোঙর করার কোনো চেষ্টা করেননি।

আগুনের সূত্রপাত লঞ্চের ইঞ্জিন থেকেই হয়েছে উল্লেখ করে মালিকদের দায় নির্ধারণ করে তদন্ত কমিটি বলছে, নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী লঞ্চটির দুটি ইঞ্জিনের মোট ক্ষমতা ছিল এক হাজার ১০০ অশ্বক্ষমতার (বিএইচপি)। কিন্তু মালিকরা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে সনদের শর্ত ভেঙে অন্য জাহাজের পুরোনো তিন হাজার ৩৬ বিএইচপির ইঞ্জিন সংযোজন করেন। পরিবর্তিত ইঞ্জিন লঞ্চটির জন্য উপযুক্ত কিনা, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হয়নি।

অভ্যন্তরীণ জাহাজ বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো নৌযানে এক হাজার ২০ কিলোওয়াট বা এক হাজার ৫০১ দশমিক ৯২ বিএইচপির চেয়ে বেশি ক্ষমতার ইঞ্জিন সংযোজন করলে লঞ্চে ইনল্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার (আইএমই) নিযুক্ত করতে হয়। কিন্তু লঞ্চটিতে এই পদের কেউ ছিলেন না। এ কারণে চারজন লঞ্চ মালিককে দায় নিতে হবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ডকইয়ার্ডে লঞ্চটিতে পুরোনো ইঞ্জিন সংযোজন করার কারণে ডকইয়ার্ডের মালিককেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

অবশ্য এরই মধ্যে লঞ্চটিতে অগ্নিকাে র ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় তিন মালিক ও দুই মাস্টার-চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিন মালিক হচ্ছেন- হামজালাল শেখ, শামীম আহমেদ ও রাসেল আহম্মেদ। ফেরদৌস হাসান রাব্বী নামের অপর মালিক অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে আটক করা হয়নি। এছাড়া লঞ্চের ইনচার্জ চালক মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম নৌ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিন কর্মকর্তার চরম অবহেলাও দায়ী :তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় তিন মাস বসে থাকার পর লঞ্চটি আবার চালু হলেও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জাহাজ জরিপকারক ও পরিদর্শক এবং বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শকরা কেউই ভালোভাবে লঞ্চটি পরীক্ষা করেননি।

এ ক্ষেত্রে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মাহবুবুর রশিদ লঞ্চটির ইঞ্জিন পরিবর্তনের বিষয়ে খোঁজ রাখেননি। তিনি লঞ্চটি পরিদর্শন করে চলাচলের জন্য অনুমতি দিতে সুপারিশ করেছিলেন। জাহাজ জরিপকারক তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন। আর লঞ্চটি যাত্রার আগে সদরঘাটে নিয়োজিত নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯ ও ২৩ ডিসেম্বর লঞ্চটি পরিদর্শন করেননি। তিনি অন্য একটি তদন্ত কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে তদন্ত কমিটির কাছে দাবি করেন। কিন্তু দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি। তাই দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া লঞ্চটির যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর পর পুনরায় সার্ভিসে আসার বিষয়টি অবগত হওয়া সত্ত্বেও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জাহাজ জরিপকারককে বিষয়টি না জানিয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে বিআইডব্লিউটিএর যে পরিবহন পরিদর্শক অভিযান-১০ লঞ্চকে 'ত্রুটি নেই' বলে যাত্রা শুরুর অনুমতি দিয়েছিলেন, সেই দিনেশ কুমার সাহার নাম তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএর সাতজন পরিবহন পরিদর্শক এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করেন।

২৫ সুপারিশে আগাম সতর্কতার তাগিদ: নৌ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ২৫টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- 'রোটেশন' পদ্ধতিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, লঞ্চ ছাড়ার আগে যথাযথভাবে পরিদর্শন, ঘন ঘন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল বাড়ানো, লঞ্চের কর্মীদের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পরিচালনা বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া, বছরে দু'বার অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন এবং ক্রুদের জন্য নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

কম লঞ্চ চালিয়ে বেশি মুনাফা অর্জনের 'রোটেশন' প্রথা বন্ধের সুপারিশ অংশে তদন্ত কমিটি বলেছে, মালিকদের এ কৌশলের কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম লঞ্চ থাকে। এ সুযোগে লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হয়। এতে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়।

প্রতিবেদনে লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষের আগুন নেভানোর জন্য স্থায়ী কার্বন ডাই-অক্সাইড সিস্টেম থাকা এবং লঞ্চে অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা সঠিক আছে কিনা, তা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মাধ্যমে কমপক্ষে প্রতি তিন মাস অন্তর বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। লঞ্চের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার না করার পাশাপাশি ইঞ্জিন রুমের আশপাশে দাহ্য পদার্থ না রাখা, প্রত্যেক নাবিকের ইউনিফর্ম পরা নিশ্চিত করা, আইন অনুযায়ী যাত্রীবাহী লঞ্চের বীমা বা নৌ দুর্ঘটনা ট্রাস্ট ফান্ড বাধ্যতামূলক করা এবং জরুরি নির্গমনপথ নিশ্চিত করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।

ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সতর্কতামূলক বিষয়গুলো কঠোরভাবে মেনে চলার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি কিংবা দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা গেলে যাত্রীদের তা আগেভাগেই জানাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তন বিষয়েও কঠোর নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করা হয়েছে। চাইলেই কেউ যেন ইঞ্জিন কিংবা এর যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে না পারেন, তা কঠোরভাবে মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য কেউ দায়ী বলে চিহ্নিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সুপারিশও করা হয়েছে।

নৌ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম সচিব তোফায়েল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে বিস্তারিত না জানিয়ে বলেন, তদন্তকালে তারা এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। সে অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা রোধে বেশকিছু সুপারিশও তুলে ধরেছেন তারা।

আরও পড়ুন

×