বুথ থেকে টাকা লুটে জড়িত গার্ডা শিল্ডের ১১ কর্মী, দুজনের জবানবন্দি

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:২৭ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:২৭
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ২৩১টি এটিএম বুথ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা লুটে জড়িত ছিল নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান গার্ডা শিল্ডের ১১ কর্মী। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশ অ্যাটেনডেন্ট ও মেশিন মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বে থাকা তাহমিদ উদ্দিন পাঠান ও আবদুর রহমানকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মহানগর উত্তর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে পিবিআই'র বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে বুথ থেকে টাকা চুরির মামলাটির তদন্ত শুরু করে পিবিআই। একপর্যায়ে গার্ডা শিল্ডের এই দুই কর্মীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। গ্রেপ্তারের পর ২২ এপ্রিল তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তিনি জানান, ঢাকার সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২৮৫২ নম্বর এটিএম বুথসহ মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকার ২৩১টি বুথ থেকে গার্ডা শিল্ডের ওই দুই কর্মীসহ ১১ জন ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে দু'জন করে একাধিক দলে ভাগ হয়ে এটিএম বুথে টাকা ভরানো এবং মেশিন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করত। ডিউটির সময় তারা এটিএম মেশিনে টাকা ভরানোর পর ভুয়া ট্রানজেকশন করত।
এভাবে ২০২১ সালে অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা টাকা তুলে নিয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে গার্ডা শিল্ড সিকিউরিটি কোম্পানিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে গার্ডা শিল্ড বিষয়টি যাচাই করে প্রাথমিকভাবে তাহমিদ উদ্দিন পাঠান ও আবদুর রহমান বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পায়। এরপর কোম্পানির পক্ষে সৈয়দ আবদুল আলম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দু'জনের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করেন।
পিবিআই'র এই কর্মকর্তা বলেন, কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি বুথের টাকা চুরিতে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছে। একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কামরুল হাসান, তারেক আজিজ, মিস্টার আলী, রবিউল হাসান, আবদুল কাদের, হাবিবুর রহমান, সুজন মিয়া, তরিকুল ইসলাম এবং শিশির কুমারও এতে জড়িত।
তারা মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিজেদের ও আত্মীয়দের নামে ইস্যু করা এটিএম কার্ড দিয়ে ভুয়া ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টাকা তুলে নিত। এছাড়া বুথের পার্চবিনে (রিজেক্ট বপ) পাওয়া টাকা লুট করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিত তারা।
- বিষয় :
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক
- এটিএম বুথ
- টাকা লুট