গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২ | ১০:০৯ | আপডেট: ১৬ মে ২০২২ | ১০:৩২
রাজধানীর কদমতলীর গ্লাস ফ্যাক্টরি সড়কের একটি বাসায় রাবেয়া আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় পুলিশ তার স্বামী খাইরুল ইসলামসহ চার স্বজনকে আটক করেছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
রাবেয়ার বাবা মো. শহীদ সরদার দাবি করেন, তার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করেছে শ্বশুর পক্ষের লোকজন। তিনি জানান, সম্পর্কের সূত্রে খাইরুল এক বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে করে। খাইরুলের পরিবার মেনে না নেওয়ায় দু'জনেই তার বাসায় থাকত। রোজার ঈদে তাদের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য হলে মেয়ে ও জামাতা গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকায় আলাদা বাসায় থাকা শুরু করে।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকাল ৬টার দিকে তিনি প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পান তার মেয়ে অসুস্থ। সেখানে ছুটে গিয়ে দেখেন যে, মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু জামাতা ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন দাবি করছিল কিছুই হয়নি। এরপর তিনি বাসায় চলে আসেন। সকাল ১০টার দিকে জানতে পারেন, রাবেয়া মারা গেছে। লাশ হাসপাতালে রয়েছে।
শহীদ সরদার দাবি করেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহের গলার নিচে দাগ দেখতে পান। তাকে গলাটিপে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
অবশ্য হাসপাতালে রাবেয়ার স্বামী খাইরুল দাবি করেছেন, সকালে স্ত্রীর বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কদমতলী থানার এসআই সোহেল রানা জানান, গৃহবধূ হত্যার খবরে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখান থেকে রাবেয়ার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। তবে ঘটনা জানতে রাবেয়ার স্বামী খাইরুল, শ্বশুর হানিফ গাজী, শাশুড়ি হাসনারা বেগম ও ননদের স্বামী মো. কাইয়ুমকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
- বিষয় :
- গলাটিপে হত্যা
- স্বামী আটক
- গৃহবধূ হত্যা