ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

রোদে পুড়ে খালি হাতে ফেরা

রোদে পুড়ে খালি হাতে ফেরা

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২১:৫৮

বাজারে চাল-আটার দামে আগুন। নিম্নবিত্ত তো বটেই; মধ্যবিত্তরাও এখন ওএমএসের ট্রাকের দিকে রাখছেন চোখ। ফলে দিন দিন লম্বা হচ্ছে ক্রেতার সারি। তবে সেই হারে বাড়েনি বরাদ্দ। ফলে সকাল ১০টা কিংবা ১১টার পর রোদে পুড়ে যাঁরা সারিতে দাঁড়ান, তাঁদের বেশিরভাগের ভাগ্যে জোটে না ওএমএসের চাল-আটা। মহাখালীর কড়াইল বস্তি, পান্থপথ, সাতরাস্তার দীপিকা মোড়, পরীবাগসহ বেশ কয়েক স্থানে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য মিলেছে।

অনেক ক্রেতার অভিযোগ- সকাল ১০টার পর সারিতে দাঁড়িয়ে তাঁরা কিনতে পারেননি চাল-আটা।

ডিলাররা জানান, দিন দিন ট্রাকের পেছনে মানুষ বাড়ছে। প্রতিদিনই অনেক ক্রেতাকে পণ্য দেওয়া সম্ভব হয় না। সরকার বরাদ্দ বাড়ালে আরও বেশি মানুষকে পণ্য দেওয়া যাবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া পদ্মা গার্মেন্টের সামনে কথা হয় ভ্যানচালক আব্দুল মতিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আজ আমি ১২টার সময় লাইনে দাঁড়াইছিলাম। তবে চাল-আটা পাইনি। দুইটার আগেই এখানে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। যারা ভোরে লাইন ধরছে তারা পাইছে।'

গেল মঙ্গলবার পান্থপথে কথা হয় তাহেরা বেগম নামের পঞ্চাষোর্ধ্ব এক নারীর সঙ্গে। তিন ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর খালি হাতে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, 'ইন্দিরা রোডে বাসা। ১২টার সময় নাতি আর নাতনিকে নিয়ে ৩০ টাকার রিকশা ভাড়ার পথ হেঁটে আইলাম। ট্রাকওয়ালা বলছে, চাল কম, সবাই পাইবে না। আমরা একেবারে পেছনে দাঁড়াইছি। আজ আর পাবো না তাই চলি যাইতেছি।' তবে আগামী দিন আরও সকালে আসবেন বলে জানান তিনি।

গত বুধবার তেজগাঁওয়ের দীপিকা মোড়ে একই আক্ষেপের কথা জানান ষাটোধ্বর্ আবুল বাশার। পেশায় রিকশাচালক এই ক্রেতা বলেন, 'মামা আগের থেকে ভাড়া (আয়) কমেছে। এ কারণে সরকারি চাল কিনতে আইছি। দুপুর পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়াইলাম। সাড়ে ৩টার দিকে চাল শেষ। লাইনে না দাঁড়ায়া রিকশা চালালেও ভালো হইতো।'

মগবাজার নয়াটোলা এলাকার ডিলার গোলাম ফারুক বলেন, 'আসলে প্রতিদিনই অনেক মানুষ খালি হাতে ফেরেন। তাঁদের দিতে না পেরে আমাদেরও কষ্ট হয়। বরাদ্দ বাড়ালে আরও বেশি মানুষকে দেওয়া যাবে।'

আরও পড়ুন

×