সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের দাবি

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২০ | ০৯:২৮
প্রায় ৩০ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্ত ডা. হাসান আলী চৌধুরীর দুই সন্তান। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
হাসান আলী চৌধুরীর সন্তান চৌধুরী দিলাবিজ মাহমুদ ও চৌধুরী মাহির আনসার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের বাবা-মা জড়িত নন, তারা নির্দোষ। ৩০ বছরের পুরোনো মামলার তদন্ত কীভাবে মাত্র আট দিনে সমাধান সম্ভব? নাটক সাজিয়ে তাদের বাবা-মা ও মামাকে জেলহাজতে আটকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তারা। দুই সন্তানের দাবি, রিকশাচালক ৩০ বছর পর পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) স্কেচ করা মামলার চতুর্থ আসামি মারুফ রেজার ছবি দেখে চিনে ফেলা এবং ৩০ বছর আগে বাদীর জবানবন্দির সঙ্গে বর্তমান জবানবন্দির মিল নেই। এসব তথ্য প্রমাণ করে মামলার তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, সগিরা মোর্শেদ হত্যায় ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে তা বানোয়াট।
গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুর ডা. হাসান, তার স্ত্রী শাহিনসহ চারজনকে আসামি করে ১ হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা। ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
নিজেদের বাবা-মাকে নির্দোষ দাবি করে দিলাবিজ মাহমুদ ও চৌধুরী মাহি বলেন, বাদী অন্য কাউকে দিয়ে সগিরা মোর্শেদকে খুন করিয়েছেন, নাকি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে, না তৃতীয় কোনো পক্ষ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে মামলাটি পুনরায় তদন্ত প্রয়োজন। পুনরায় সুষ্ঠুভাবে মামলাটি তদন্ত করে আসল খুনিকে বের করা হোক।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। গত বছরের ১৭ আগস্ট মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। গত ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়।