ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ঈদযাত্রায় টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে রেলস্টেশনে

ঈদযাত্রায় টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে রেলস্টেশনে

টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে - সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১৬:৩৩ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১৬:৩৩

ঈদের ছুটি শুরু আগামী বুধবার। সেদিন থেকে পরের কয়েক দিন শহর ছেড়ে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামবে। তবে আগাম টিকিট বিক্রির হিসাবে আজ সোমবার থেকে ঈদযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এ বছর ট্রেনে উপচেপড়া ভিড় নেই। কারণ, টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হচ্ছে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে।

স্টেশনের প্রবেশপথ থেকে ট্রেনে ওঠা পর্যন্ত তিন স্তরের তল্লাশি থাকায় বিনা টিকিটের যাত্রীদের এবার রেলভ্রমণ কঠিন হয়েছে। বাসে এখনও স্বাভাবিক সময়ের মতোই ভিড়।

আজ দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, বাইরে বাঁশের বেষ্টনী দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। টিকিটে থাকা নামের সঙ্গে যাত্রীর পরিচয়পত্র মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। মিল না থাকলে ওই যাত্রীকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। স্টেশনের বাইরে বাঁশের বেষ্টনীতে রেলের পাঁচজন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) যাত্রীদের টিকিট এবং পরিচয়পত্র যাচাই করেন। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরাও রয়েছেন সেখানে।

যাত্রীকে দ্বিতীয় দফা তল্লাশিতে পড়তে হচ্ছে কমলাপুরের টিকিট কাউন্টারের সামনের তিনটি গেটে। সেখানে পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন দিয়ে দেখা হচ্ছে টিকিট আসল নাকি জাল। তবে সব যাত্রীর নয়; কারও কারও টিকিট পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে যাত্রীপ্রতি ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড সময় লাগছে।

কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগ, অকারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে টিকিট পরীক্ষকরা বলছেন, ৯৫ শতাংশ যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে পরিচয়পত্রের নামের মিল রয়েছে। যাঁদের নাম মিলছে না, তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রার মাধ্যমে ঈদযাত্রা শুরুর কথা ছিল। ট্রেনটি ২০ মিনিট দেরিতে স্টেশন থেকে যাত্রা করে। দিনের বাকি সময়ে অন্য ট্রেনগুলো মোটামুটি নির্ধারিত সময়েই ছেড়েছে।

কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার জানান, শিডিউল মেনেই চলছে ট্রেন।

ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, কোনো ট্রেনে ৫০০ আসন থাকলে ১২৫ জন দাঁড়িয়ে ভ্রমণের জন্য টিকিট নিতে পারবেন। ট্রেনে যাত্রার দিন স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে।

ভোর থেকেই স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য কমলাপুর স্টেশনে আসেন অনেকে। কিন্তু সে টিকিটও দ্রুত ফুরিয়ে যায়। দূরের যাত্রার নয়, কাছের জেলার যাত্রীরা এই টিকিট নিচ্ছেন।

রিয়াজুল হাসান নামে এক যাত্রী জানান, দুপুর ২টার মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে গফরগাঁও যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্ট্যান্ডিং টিকিটও পাননি।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান, স্ট্যান্ডিং টিকিটধারী যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা শোভন বা শোভন চেয়ার শ্রেণির বগিতে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে কেউই ছাদে উঠতে পারবেন না। শুধু কমলাপুর নয়, পথিমধ্যেও কেউ যেন ট্রেনের ছাদে চড়তে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বাসে যাত্রীর চাপ বাড়লে ঈদযাত্রায় যে ভিড় সৃষ্টি হয়, তা এখনও হয়নি। হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এ বছর যাত্রী কম। আগাম টিকিট খুব একটা বিক্রি হয়নি। তবে আশা করছি, ঈদের ছুটি শুরুর দিন থেকে যাত্রী বাড়বে। 

আরও পড়ুন

×