মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ, আদার কেজি তিনশর ঘরে

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১২ মে ২০২৩ | ১৯:৫১
পেঁয়াজ ও আদার দাম শুধু বাড়ছেই। এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে আরও ৫ টাকা। আর গত তিন দিনে দেশি আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বাড়ছে। অন্যদিকে আদার আমদানিও কম থাকায় ঝাঁজ বাড়ছে পণ্যটির।
বাজারে এখন যেসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তার সিংহভাগই দেশি। আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই কম। গত এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ধাপে ধাপে বেড়ে পেঁয়াজের দাম হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। অথচ রোজার ঈদের দুই-একদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বাজারে আমদানি করা বড় আকারের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৫৫-৬০ টাকা দরে। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫০-৫৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ছিল ৬০ টাকা। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকায় এবং আমদানি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৭০ টাকা কেজি পর্যন্ত। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পান সে কারণে পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বৃদ্ধি করেনি কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ-আদা বিক্রেতা ফারুক হোসেন সমকালকে বলেন, ভারত থেকে দুই মাস আমদানি বন্ধ। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজই বেশি। আমদানি না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
যদিও গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পেঁয়াজের মতোই বাড়ছে আদার দাম। তিন দিন আগে দেশি আদার কেজি ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। দাম বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৮০ পর্যন্ত। এক মাস আগে দেশি আদা বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকার আশপাশে। একইভাবে আমদানি করা চায়না আদার দামও বাড়তি। এ ধরনের আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকা দরে। টিসিবির তথ্যে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে আদার দাম গড়ে ৫০ শতাংশের মতো বেড়েছে।
আদার ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীদের একই দাবি। কারওয়ান বাজারের পাইকারি আদা ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদের আগে আদার চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। সে কারণে প্রতি বছর কোরবানির আগে দাম কিছুটা বাড়ে। তবে এ বছর বাড়ছে অন্য কারণে। আমদানি কমে যাওয়াই এর মূল কারণ।