ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা, পুলিশের লাঠিচার্জ

গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তালা, পুলিশের লাঠিচার্জ

ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩ | ১৬:০৫ | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ | ১৬:০৭

নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ভবনের মালিকপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারের ছয়তলায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালিকপক্ষ তালা দেয়। সন্ধ্যার পর দলটির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বের করে দেয়। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

জানা গেছে, প্রিতম-জামান ভবনের মালিক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। দলে ভাঙনের পর রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদে আগের দুটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘মিয়া মশিউজ্জামান এই কার্যালয় অনুদান হিসেবে দিয়েছিলেন। তিনি এখন দল করবেন না, ভালো। তাহলে চুক্তি অনুযায়ী তিনি মাসিক ভাড়া নেবেন। কিন্তু ভাড়া না নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুটি কলাপসিবল গেট বসিয়ে তিনি (মিয়া মশিউজ্জামান) পাহারাদার হিসেবে বসিয়েছেন। তাঁদের হাতে অস্ত্র আছে। দলের দু-একজন করে গেলে তাদের মারধর করেছেন। মোবাইল নিয়ে গেছেন।’

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘বিল অনাদায়, ভবনের মালিকানা নিয়ে হুমকি, তার পরিবারকে হুমকি, অকথ্য গালিগালাজের কারণে মনে করেছি, নুর (নুরুল হক) উপযুক্ত ভাড়াটে নন। বরং তিনি তার সম্পত্তির জন্য বিরাট হুমকি। এর আগে গত ৭ জুলাই দুই দিনের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়তে নোটিস দিয়েছিল ভবনের মালিকপক্ষ। গণঅধিকার পরিষদের তৎকালীন সদস্যসচিব নুরুল হক বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। জমির মালিকের পক্ষে মো. রাশিদুল আজিম মিয়া নামের এক ব্যক্তি নোটিসটি পাঠিয়েছিলেন।’

এদিকে সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভবন মালিক পক্ষ পুলিশকে ডাকেন। পুলিশ এসে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু অতিরিক্ত নেতাকর্মীদের ভিড় সামলাতে একসময়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এবং পুলিশ নেতাদের বের করে দিয়ে কার্যালায়ে পুনরায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, পুলিশ তাদের কোন নিরাপত্তা দেয়নি। উল্টো তাদের উপর হামলে পড়েছে। তারা কার্যালয় ছাড়া করার চেষ্টা করেছে।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু যত চেষ্টাই হোক বাকশালি সরকারের কাছে মাথানত করব না। আমাদের চুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস আছে। তাই চুক্তি অনুযায়ী আরও ৬ মাস আমরা কার্যালয়ে থাকব। কোনভাবেই কার্যালয় ছাড়ব না।’

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে ঝামেলা হয়েছে শুনে পুলিশ গেছে। পুলিশের সঙ্গে তাদের কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে।’

আরও পড়ুন

×