প্রবীণদের ৭০ শতাংশই সরকারি সেবা গ্রহণে অনীহা

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৫৫ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৫৫
ঢাকা শহরের ৫৫ শতাংশ প্রবীণ কোন না কোন শারীরিক অসুস্থতায় ভোগেন। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ কোন সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে চান না। সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) পরিচালিত' এভেবিলিটি অব সার্ভিসেস ইন এক্সিস্টিং হেলথ কেয়ার সিস্টেম ইন রিলেশন অন জেরিয়াট্রিক কেয়ার ইন ঢাকা সিটি শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন উপলক্ষে বুধবার ধানমণ্ডির ডব্লিউভিএ অডিটোরিয়ামে এক সভায় এই গবেষণার তথ্য জানানো হয়।
আয়োজকেরা জানান, সিআইপিআরবির উপদেষ্টা অধ্যাপক আফসানা করিমের নেতৃত্বে চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় ও উপযোগী সেবার উপস্থিতি পরিমাপ করা হয়। একইসঙ্গে এ ধরণের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে করণীয় পদক্ষেপ খুঁজে বের করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, প্রবীণদের উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সেবাদানকারীদের সহানুভূতিমূলক আচরণের ঘাটতির কারণে প্রবীণেরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে চান না। বিভিন্ন সরকারি-বেসকারি হাসপাতালে সেবাপ্রদানকারীদের বয়স্ক ব্যক্তিদের সেবাদান বিষয়ক কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। হাসপাতালগুলোতে এ সংক্রান্ত কোনো প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালাও নেই। এমনকি হাসপাতালের কাঠামোগত ব্যবস্থাপনায় বয়স্ক ব্যক্তিদের উপযোগী কোনো সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯২ শতাংশ বয়স্ক ব্যক্তির স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবন নির্বাহ করা থেকে শুরু করে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি অসুস্থতায় নির্দিষ্ট যত্নকারীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য যত্নকারীদের উচ্চ মূল্যমান হওয়ায় তা সমাজের বেশিরভাগ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। আর যারা যত্নকারী রাখার সামর্থ্য রাখেন তাদের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। তারা যত্নকারীদের উপযুক্ত দক্ষতার অভাব, সহিংস ও অসম্মানজনক আচরণ ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানান।
সভায় জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩ এর সঠিক বাস্তবায়ন, প্রবীণ ব্যক্তিদের উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, যত্নকারীর সহজলভ্যতা, বয়স্ক ব্যক্তিদের সেবাদানের সঙ্গে যুক্ত সকলের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিআইপিআরবির নন কমিউনিকেবল ডিজিজ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান মাসরেকি, ডিজিএইচএসের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক সানিয়া তাহমিনা ঝোরা।
- বিষয় :
- রাজধানী
- সরকারি প্রতিষ্ঠান
- সেবা
- প্রবীণ