রাজধানীতে গণপরিবহন নেই, ভোগান্তি চরমে

ফার্মগেট মোড়ে বাসের সংখ্যা খুবই কম। ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪ | ১৪:২২ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ | ১৪:৪৪
কারফিউ শিথিলের মধ্যে গতকাল বুধবার থেকে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর। এতে সাধারণ যাত্রীর সঙ্গে রাস্তায় বেড়েছে অফিসগামী মানুষের সংখ্যা। তবে সেই অনুপাতে দেখা মেলেনি গণপরিবহনের। কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেয়া এবং আন্দোলন সংক্রান্ত শঙ্কা থেকে এখনই রাস্তায় গাড়ি নামানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না অধিকাংশ পরিবহন মালিক।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঁচ ঘণ্টার জন্য পরিবহন পুল থেকে গাড়ি বের করছেন না তারা। এছাড়া এখনো সড়কের ঝুঁকিও কমেনি। ফলে পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হলে তবেই রাস্তায় গাড়ি নামানো হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন রুটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, নীলক্ষেত, শাহবাগ, কুড়িল বিশ্বরোড, বাড্ডা, রামপুরা, গুলশান রুটে গণপরিবহন নেই বললেই চলে। তবে সড়কে দেখা গেছে ব্যক্তিগত পরিবহন ও ছোট যানবাহন।
রাজধানীর মিরপুর-মোহাম্মদপুর রুটে একেবারেই দেখা মেলেনি পাবলিক বাসের। মোহাম্মদপুরের টাউনহল এলাকা থেকে তেজগাঁও যাচ্ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মোহাম্মাদ আসিফ। সমকালকে তিনি বলেন, বাস না পেয়ে রিকশায় অফিস যাচ্ছি। বাসে ভাড়া লাগে ১০ টাকা। রিকশায় লাগছে ১০০ টাকা।
এদিকে যাত্রাবাড়ী-মালিবাগ রুটে স্বল্প সংখ্যক গণপরিহন দেখা গেছে। মুগদা বিশ্বরোড থেকে কারওয়ান বাজার অফিস করেন রুহুল আমিন। তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর এই রুটের একটি গাড়ি পেয়েছি। প্রায় পুরো রাস্তা দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে। অনেক ভিড় ছিল। তবে সড়কে যানবাহন কম থাকায় জ্যামে পড়তে হয়নি।
ভিন্ন চিত্রও দেখা গেছে কিছু রুটে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে বনানী রুটে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বনানী এলাকা থেকে বাংলামটর যাচ্ছিলেন নাতাশা তানজীন। আর্মি স্টেডিয়াম এলাকায় আটকা পড়েছেন যানজটে। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, পুরো রাস্তা জ্যাম। দেড় ঘণ্টা আটকে আছি। কখন পৌঁছুতে পারবো জানি না।
বাংলামটরে দায়িত্বরত পুলিশের সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ ইবনে জুয়েল জানান, আজ সকাল থেকেই গণপরিহনের চাপ কম দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত পরিবহন ও ছোট যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক সময়ের মতোই রয়েছে।