ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

নৌঅধিদপ্তরের সংস্কার চায় বৈষম্যবিরোধী নাবিক আন্দোলন

নৌঅধিদপ্তরের সংস্কার চায় বৈষম্যবিরোধী নাবিক আন্দোলন

ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২১:০৫

নৌপরিবহন অধিদপ্তর সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে ভর্তিবাণিজ্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিবঞ্চিত সাধারণ নাবিকরা। তারা বলেছেন, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ভর্তিবাণিজ্যের কারণে প্রায় এক হাজার নাবিক এখনও চাকরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। 

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী নাবিক আন্দোলনের ব্যানারে অতিরিক্ত নাবিক নিয়োগ বন্ধ করা এবং দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আয়োজিত মানববন্ধনে নাবিকরা এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী নাবিক আন্দোলনের সমন্বয়ক সাব্বির হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান শেখ, সৌরভ মন্ডল, সজীব রানা, মো. ফায়েজ ও মো. আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেরিন একাডেমির সাবেক শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে চলমান বৈষম্য নিরসনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও সরকারি শিপিং অফিসের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ এবং এ দুই সংস্থাসহ গোটা নৌপরিবহন সেক্টর সংস্কারের দাবি জানানো হয়। 

যেসব কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করা হয়, তারা হলেন- নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (সংযুক্তিতে) মনজুরুল কবির, চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার-সিএনএস (চলতি দায়িত্বে) ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের পরিচালক ও নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মোহাম্মদ দেলোয়ার রহমান, নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ আহমেদ এবং সরকারি শিপিং অফিসের শিপিং মাস্টার জাকির হোসেন।    

বক্তারা সরকারি ও বেসরকারি নাবিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টির জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও শিপিং মাস্টারকে দায়ী করে বলেন, অনেক নাবিক আছেন, যারা এখনও চাকরি পাননি। দুই-তিন বছর যাবত বেকার আছেন। মূলত বেসরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউটগুলোতে অতিরিক্ত নাবিক ভর্তির কারণে চাকরির বাজারে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের এই দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
 
তারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের কারিকুলাম এবং সনদের মান এক। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোনো শিপিং কোম্পানির দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজে আমরা চাকরি করতে পারি না। ২০১৫ নৌঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিপিং মাস্টার একটা খসড়া আইন পাশ করিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা নাবিকদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। এসব অনিয়ম দূর করতে বৈষম্যবিরোধী নাবিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা গোটা নৌপরিবহন সেক্টরের সংস্কার চাই। 

বক্তারা আরও বলেন, মেরিটাইম সেক্টর থেকে প্রতি বছর দেশে যে রেমিট্যান্স আসে তার পরিমাণ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারপরও এই সেক্টর চরমভাবে অবহেলিত। সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষই মেরিন সেক্টরকে পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতা প্রদানের প্রয়োজন মনে করে না।

আরও পড়ুন

×