ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

‘কাকরাইল মসজিদ-ইজতেমার মাঠ সাদপন্থি-মুক্ত রাখতে হবে’

‘কাকরাইল মসজিদ-ইজতেমার মাঠ সাদপন্থি-মুক্ত রাখতে হবে’

জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ-এর সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭:১৭

কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সবসময়ের জন্যই ওলামাবিদ্বেষী সাদপন্থি-মুক্ত রাখতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা মো. ফজলুল করীম কাসেমী বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা দুর্নীতিবাজদের মদদ দিয়েছে, ভোটারবিহীন নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দলীয় কর্মী হিসেবে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছে, সেই সাদপন্থিরা আলেম-ওলামাসহ দুই হাজারের অধিক শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সমন্বয়কদের আশেপাশে ভিড় করছে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী মতলববাজদের কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পরামর্শে কান দেওয়া যাবে না। কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সব সময়ের জন্যই ওলামাবিদ্বেষী সাদপন্থি-মুক্ত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশ এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে, দেশবাসী আলোর মুখ দেখার প্রহর গুনছে, সরকার দেশবাসীকে একটি শান্তির দেশ উপহার দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ফজলুল করীম কাসেমী লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদ মাদরাসা কমপ্লেক্স ও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান শতকরা ৯০ শতাংশ ওলামাপন্থি তাবলীগের সাথী তথা উলামায়ে কেরামদের পরামর্শে শুরাই নেজামে চলনেওয়ালাদের জিম্মায় ছেড়ে দিতে হবে। গত ৫ নভেম্বরের মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্রের দাবিও এমনটি ছিল। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, গত কয়েকদিন আগে গুটিকয়েক সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের সংবাদ সম্মেলন ছিল মিথ্যাচারে ভরা, যেন পাগলের প্রলাপ। সমাধানের পথ একটি খোলা আছে, তওবা করুন, আপনাদের আমিরকে তওবা করান, দ্বীনের সহিহ পথে ফিরে আসুন, সংঘাত নয় শান্তির পথে চলতে শিখুন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা সানাউল্লাহ প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×