ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ক্ষোভ থেকে হা–মীমের কর্মকর্তাকে হত্যা: র‌্যাব

গ্রেপ্তার আরও ২

ক্ষোভ থেকে হা–মীমের কর্মকর্তাকে হত্যা: র‌্যাব

নিহত আহসান উল্লাহ। ছবি-সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৫ | ০১:০১

রাজধানীর তুরাগে হা–মীম গ্রুপের কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ হত্যায় জড়িত অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাদের মধ্যে একজন হলেন মো. ইস্রাফিল (১৯)। অপরজন কিশোর (১৬) হওয়ায় তার নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হলো না। শনিবার রাতে তাদের তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় জড়িত গাড়িচালক সাইফুল ইসলাম ও নূর নবী মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। 

র‌্যাব সূত্র জানায়, ‘ক্ষোভের বশে’ আহসানকে হত্যা করেন সাইফুল। তবে হত্যার পরিকল্পনা ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। মারধরের একপর্যায়ে আহসান মুমূর্ষু হয়ে পড়লে তিনি ভীত হয়ে পড়েন। তখন উত্তরায় নিথর দেহ ফেলে পালিয়ে যান জড়িতরা। গ্রেপ্তার অপর তিনজন তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ক্ষোভের পাশাপাশি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যও ছিল তাদের।

র‌্যাব-১ এর সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম সমকালকে বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে শনিবার রাতে এক কিশোর এবং শুক্রবার ইস্রাফিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিহত কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ছিলেন সাইফুল। তিনি নিজের বেতন–ভাতা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। বিশেষ করে বেতনের বাইরে কখনও বাড়তি অর্থ বা টিপস না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এ কারণে তিনি আহসানকে মারধর করে তাঁর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব থেকে নিজের হিসাবে ৩০ হাজার টাকা স্থানান্তর করেন সাইফুল। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে নেওয়া হয়েছে।

নিহত আহসান উল্লাহ হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ২৩ মার্চ বিকেলে প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ করে ব্যক্তিগত গাড়িতে আশুলিয়া থেকে তুরাগের চন্ডালভোগের বাসায় ফিরছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন সাইফুল। পথেই আহসানকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। পরে সাইফুল নিহতের বাসায় গাড়ি রেখে পালিয়ে যান। এর দুদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে কাশবন থেকে আহসানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই সাইফুলকে আসামি করে পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা করেছিলেন নিহতের স্ত্রী লুৎফুন নাহার। লাশ পাওয়ার পর সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। 

আরও পড়ুন

×