ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আত্মা’র সভায় বক্তারা

সিগারেটের দামে নিম্ন ও মধ্যম স্তর এক হলে মানুষ ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে

সিগারেটের দামে নিম্ন ও মধ্যম স্তর এক হলে মানুষ ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫ | ২৩:১০ | আপডেট: ০৮ মে ২০২৫ | ২৩:১০

সিগারেটের দামে নিম্ন ও মধ্যম স্তর এক হলে মানুষ ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে। এমন মন্তব্য করেছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা। সংগঠনটি আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে বিদ্যমান ৪টি মূল্যস্তরকে ৩টি স্তরে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।

বুধবার আত্মার সভায় এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় সংগঠনের কার্যক্রম এবং করণীয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়। 
এ সময় বক্তব্য রাখেন আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী, প্রজ্ঞা’র হাসান শাহরিয়ার, দৈনিক জনকণ্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ এবং সদস্যসচিব এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত আত্মার ৪৯ জন সদস্যের উপস্থিত ছিলেন।  

বক্তারা বলেন, সিগারেটের দামের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একস্তরে নামিয়ে আনা হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে এবং একইসঙ্গে সরকারের রাজস্বও আয় বাড়বে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা । 

সভায় নিম্ন স্তর এবং মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করা; উচ্চ স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা; এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। একইসাথে ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার দাবি জানানো হয়। এছাড়া, ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ; প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপসহ সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। একইসঙ্গে  দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লাখ তরুণসহ মোট সতেরো লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন

×