ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

হাড়ের ডেনসিটি কমছে

ভুগতে পারেন নানা সমস্যায়

ভুগতে পারেন নানা সমস্যায়

প্রতীকী ছবি

ডাক্তারবাড়ি ডেস্ক 

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২:৫৩

হাড়ের ডেনসিটি কমে যাওয়ার ফলে আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিসের মতো নানা সমস্যা দেখা যায়। পঁচিশ বছর বয়সের পর সাধারণত হাড়ের বৃদ্ধি হয় না। এর পর থেকেই হাড়ের ডেনসিটি কমতে শুরু করে। হাঁটাচলা, ওঠাবসা সবকিছুতেই কষ্ট হয়। হাড়ের ডেনসিটি কমে যাওয়ার ফলে আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিসের মতো নানা সমস্যা দেখা যায়। তবে ঠিকমতো চিকিৎসা ও যথাযথ লাইফস্টাইল বজায় রাখলে আপনার হাড় অনেক দিন মজবুত থাকবে। অনেকেই মনে করেন হাড় মজবুত রাখার জন্য দিনে এক গ্লাস দুধই যথেষ্ট। তাতেই শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভবিষ্যতে হাড় ক্ষয় রোধের জন্য সারাদিনে অন্তত তিনবার দুধ, দই বা ছানার মতো ডেইরি প্রডাক্ট খাওয়া উচিত। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন– টোফু, ছোট মাছ, পালংশাক, বিন, ব্রকলি, আমন্ড, ফলের রস নিজের ডায়েটে রাখুন।
যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে এবং মেনোপজ হয়ে গেছে, তাদের নিয়মিত ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া জরুরি। ৬৫ বছরের ওপর হয়ে গেলে ক্যালসিয়াম ইনটেক ১৫০০ গ্রাম হওয়া উচিত। ৪০০-৮০০ আইইউ ভিটামিন ডি জাতীয় সাপ্লিমেন্টস খেলে অস্থি ক্ষয়ের হার এবং ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়। সিগারেট, কফি অ্যালকোহল খাওয়া কমিয়ে দিন। ভিটামিন ডি যাতে ভালোভাবে শরীরে প্রবেশ করে, এর জন্য পর্যাপ্ত সময় বাড়ির বাইরে থাকুন। সূর্যের কিরণে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি থাকে। তাই সান এক্সপোজার খুবই জরুরি। হাড়ের ক্ষয় রুখতে এক্সারসাইজ করা জরুরি। প্রতিদিন সকালে-বিকেলে হাঁটার অভ্যাস করুন। তবে মাথায় রাখা দরকার, কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। বেশি এক্সারসাইজ করলে দুর্বল হাড়ের ওপর আরও চাপ পড়তে পারে। ৪০ বছরের পর আর যদি নির্দিষ্ট কোনো অসুখ যেমন– হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাই ব্লাডপ্রেশার থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এক্সারসাইজ করা একেবারেই উচিত হবে না।
সুস্বাস্থ্যের জন্য ডাবের পানি 
 ডা. তাওহীদা রহমান

 

আরও পড়ুন

×