ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

অতিরিক্ত রাত জাগছেন

অতিরিক্ত রাত জাগছেন

.

ডাক্তারবাড়ি ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫ | ০০:০২

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি? প্রাথমিকভাবে এ ধরনের সমস্যাগুলোকে অনেকে গুরুত্ব দেন না। এগুলো হতে পারে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের লক্ষণ।  সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ম কিন্তু কেবল বড়দের জন্য প্রযোজ্য নয়, কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়। সুইডেনের এক দল বিজ্ঞানী সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে সব কিশোর-কিশোরী রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুমায়, তাদের মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাকিদের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। এর জন্য দায়ী রাত জেগে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে আনগোনা। এই অভ্যাস কিন্তু বড়দেরও রয়েছে। এই রোগ খুব বেশি পরিচিত নয়। কী এই রোগ, উপসর্গই বা কী?
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাথাঘোরা, ক্লান্তি? প্রাথমিক ভাবে এ ধরনের সমস্যাগুলো অনেকে গুরুত্ব দেন না। এ ধরনের সমস্যা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি স্নায়ুর এক ধরনের জটিল রোগ। যে কোনো বয়সের মানুষের এ ধরনের রোগ হতে পারে। গবেষণায় উঠে এসেছে কমবয়সিদের রাত জাগার কারণে তাদের মধ্যে এ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষকদের মতে, জিনগত কারণেও মানুষের শরীরে এ রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এ ছাড়া, ধূমপান ও স্থূলতার প্রভাবেও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস একটি অটোইমিউন ডিজিজি। এর ফলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কডের ওপর প্রভাব পড়ে। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের ক্ষেত্রে সবার আগে মায়েলিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মায়েলিন হচ্ছে মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কডের স্নায়ু ফাইবারকে সুরক্ষা প্রদানকারী আবরণ। 
মায়েলিন ছাড়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জু শরীরের অন্যান্য স্নায়ুর সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে ।
যদিও মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের উপসর্গগুলো এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হয়, তবু সাধারণত যে উপসর্গগুলো অধিকাংশ এমএস আক্রান্তদের মধ্যেই দেখা যায়, সেগুলো হলো–
lদৃষ্টিশক্তির সমস্যা lহাত-পায়ে অসাড় ভাব lঅবসাদ ও দুশ্চিন্তা
lমাথাব্যথা lমাথা ঘোরানো lপেশিতে টান l শ্বাসকষ্ট lকিছু ভাবা বা চিন্তা করার ক্ষেত্রে সমস্যা lকথা বলতে সমস্যা lযৌন 
সমস্যা। v 

আরও পড়ুন

×