আসছে বাজেট
রিটার্ন দাখিল বাড়াতে জরিমানায় ছাড়

শেখ আবদুল্লাহ
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২২ | ১২:০০
আয়কর রিটার্ন দাখিল বাড়াতে নতুন অর্থবছরে বিশেষ একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। যেসব করদাতার শনাক্তকরণ নম্বরের (টিআইএন) বিপরীতে আয়কর রিটার্ন জমা হয়নি, তাঁদের আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দেবে এনবিআর। অন্যদিকে, সরকারি যেসব সেবা নিতে টিআইএন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের স্লিপ বা রশিদ জমা দেওয়ার নিয়ম করতে যাচ্ছে এনবিআর।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেসব ব্যক্তি টিআইএনধারী কখনোই আয়কর রিটার্ন জমা দেননি কিংবা এক বা দুই বছর দিয়ে পরে আর দিচ্ছেন না, আগামী অর্থবছরে রিটার্ন জমা দিলে তাঁদের ওপর অতীতের কোনো জরিমানা আরোপ করা হবে না। এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে আগের আয় বছরের রিটার্ন দাখিল শুরু হয়। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারেন করদাতারা। যৌক্তিক কারণে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল না করতে পারলে উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করে করদাতা সময় নিতে পারেন। কিন্তু আবেদন না করলে তাঁকে প্রদেয় করের ১০ শতাংশ বা ১ হাজার টাকার মধ্যে যা বেশি, ওই পরিমাণ অর্থ এবং প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়। যেসব টিআইএনধারী কখনোই রিটার্ন জমা দেননি, তাঁদের ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়ে থাকে।
দেশে বর্তমানে টিআইএনের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। কিন্তু সর্বশেষ ২০২১-২২ কর বছরে ২৫ লাখের কিছু বেশি টিআইএনের বিপরীতে আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে। যাঁদের বছরে আড়াই লাখ টাকার বেশি আয় আছে, তাঁদের মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবার টিআইএন নেওয়া ও প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে টিআইএনধারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৩৭ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে জমি বিক্রি করতে এবং ক্রেডিট কার্ড নিতে যাঁরা টিআইএন নিয়েছেন, তাঁদের রিটার্ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আর বাংলাদেশে স্থায়ী ভিত্তি নেই এমন অনিবাসীদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।
এনবিআরের আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, টিআইএনধারীদের মধ্যে ২৬ লাখের কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছে না, যা 'ফাইল্ড কেস' হিসেবে রাখা হয়েছে। এর অর্থ হলো, এসব টিআইএন বাতিল করা হচ্ছে না, কিন্তু স্থগিত আছে। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে (যা আয়কর বিভাগের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড আছে বা থাকবে) তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।
প্রসঙ্গত, নানা উদ্যোগ থাকলেও রিটার্ন দাখিল প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। ব্যক্তি করদাতা ছাড়াও প্রায় পৌনে ২ লাখ নিবন্ধিত কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে রিটার্ন জমা দেয় ৩০ হাজারের কম। জিডিপিতে করের অবদান বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পিছিয়ে থাকা একটি দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশই কর জিডিপি অনুপাত বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।
সরকারি সেবা পেতে রিটার্নের রশিদ বাধ্যতামূলক হচ্ছে : রিটার্ন দাখিলে আগের জরিমানা মাফ করার পরিকল্পনা থাকলেও সরকারি সেবা পেতে টিআইএনের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের রসিদের ফটোকপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ জমা না দিলে তাদের উৎসে করের সঙ্গে ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আয়কর থেকে ৬৯ হাজার ১১০ কোটি টাকা রাজস্ব এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেসব ব্যক্তি টিআইএনধারী কখনোই আয়কর রিটার্ন জমা দেননি কিংবা এক বা দুই বছর দিয়ে পরে আর দিচ্ছেন না, আগামী অর্থবছরে রিটার্ন জমা দিলে তাঁদের ওপর অতীতের কোনো জরিমানা আরোপ করা হবে না। এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে আগের আয় বছরের রিটার্ন দাখিল শুরু হয়। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারেন করদাতারা। যৌক্তিক কারণে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল না করতে পারলে উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করে করদাতা সময় নিতে পারেন। কিন্তু আবেদন না করলে তাঁকে প্রদেয় করের ১০ শতাংশ বা ১ হাজার টাকার মধ্যে যা বেশি, ওই পরিমাণ অর্থ এবং প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়। যেসব টিআইএনধারী কখনোই রিটার্ন জমা দেননি, তাঁদের ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়ে থাকে।
দেশে বর্তমানে টিআইএনের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। কিন্তু সর্বশেষ ২০২১-২২ কর বছরে ২৫ লাখের কিছু বেশি টিআইএনের বিপরীতে আয়কর রিটার্ন জমা হয়েছে। যাঁদের বছরে আড়াই লাখ টাকার বেশি আয় আছে, তাঁদের মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবার টিআইএন নেওয়া ও প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে টিআইএনধারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৩৭ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে জমি বিক্রি করতে এবং ক্রেডিট কার্ড নিতে যাঁরা টিআইএন নিয়েছেন, তাঁদের রিটার্ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আর বাংলাদেশে স্থায়ী ভিত্তি নেই এমন অনিবাসীদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।
এনবিআরের আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, টিআইএনধারীদের মধ্যে ২৬ লাখের কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছে না, যা 'ফাইল্ড কেস' হিসেবে রাখা হয়েছে। এর অর্থ হলো, এসব টিআইএন বাতিল করা হচ্ছে না, কিন্তু স্থগিত আছে। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে (যা আয়কর বিভাগের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড আছে বা থাকবে) তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।
প্রসঙ্গত, নানা উদ্যোগ থাকলেও রিটার্ন দাখিল প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। ব্যক্তি করদাতা ছাড়াও প্রায় পৌনে ২ লাখ নিবন্ধিত কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে রিটার্ন জমা দেয় ৩০ হাজারের কম। জিডিপিতে করের অবদান বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পিছিয়ে থাকা একটি দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশই কর জিডিপি অনুপাত বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।
সরকারি সেবা পেতে রিটার্নের রশিদ বাধ্যতামূলক হচ্ছে : রিটার্ন দাখিলে আগের জরিমানা মাফ করার পরিকল্পনা থাকলেও সরকারি সেবা পেতে টিআইএনের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের রসিদের ফটোকপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ জমা না দিলে তাদের উৎসে করের সঙ্গে ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আয়কর থেকে ৬৯ হাজার ১১০ কোটি টাকা রাজস্ব এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।