ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

নন-এডি ৬৬৬ শাখায় ডলার বেচাকেনা চায় ২৩ ব্যাংক

নন-এডি ৬৬৬ শাখায় ডলার বেচাকেনা চায় ২৩ ব্যাংক

প্রতীকী ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২২ | ২২:০৫ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২২ | ২২:০৫

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অনুমোদিত (এডি) নয় এমন ৬৬৬টি শাখার মাধ্যমে নগদ ডলার বেচাকেনায় আগ্রহী ২৩টি ব্যাংক। এসব শাখার মাধ্যমে নগদ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়ে আবেদন করেছে ব্যাংকগুলো। এর আগে ১১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক নন-এডি শাখার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচায় আগ্রহী শাখার তালিকা চেয়ে সব ব্যাংকের এমডিকে চিঠি দেয়। ১৭ আগস্ট ছিল তালিকা পাঠানোর শেষ দিন।

জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকে চিঠি দিলেও ২৩টি ব্যাংক এডি শাখার বাইরে নগদ বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচায় আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে কোন ব্যাংককে কোথায় অনুমতি দেওয়া হবে তা ঠিক করবে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, ব্যাংকগুলো এডি শাখা থেকে নগদ ডলার বেচাকেনাসহ সব ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করতে পারে। তবে নির্ধারিত কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অনুমোদিত বা অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখার লাইসেন্স নিতে হয়। অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ, আশপাশের ব্যবসায়িক পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সাধারণত শিল্পঘন বা বাণিজ্যিক এলাকায় এডি শাখার অনুমতি নেয় ব্যাংকগুলো। এর বাইরে মানিচেঞ্জারগুলো শুধু নগদ ডলার বেচাকেনা করতে পারে। তবে মানিচেঞ্জারে নানা অনিয়ম পাওয়ায় এখন ব্যাংকের নন-এডি শাখায় বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি মানিচেঞ্জারগুলোতে নগদ ডলার ১১৯ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয়। ব্যাংকগুলোতে যা ১১০ টাকার নিচে ছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ৬০২টি মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স দিলেও বর্তমানে ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বৈধতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিদর্শনে উঠে আসে লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। আবার এক ঠিকানায় লাইসেন্স নিয়ে আরেক ঠিকানায় ব্যবসা, একাধিক শাখা খুলে ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে পাঁচটি মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়।

আরও পড়ুন

×