দুর্নীতি কমালে বাজেট বাস্তবায়ন বাড়বে

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩ | ১৮:০০
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়ন সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এর মূল কারণ রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, দুর্নীতি ও সীমিত সম্পদ। এই তিন সমস্যার সমাধান করতে পারলে বাজেট বাস্তবায়ন বাড়ানো অনেকাংশেই সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন র্যাপিডের চেয়্যারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া স্বল্পোন্নত অন্য দেশগুলো তাদের জিডিপির ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অর্থ বাজেটের জন্য ব্যয় করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ জিডিপির ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সেখান থেকে সংশোধিত বাজেট ১৩ থেকে ১৪ শতাংশে নেমে আসে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি এর বড় একটি কারণ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও রাজস্ব আদায়ে সক্ষমতার ঘাটতিও অন্যতম কারণ। যদি দুর্নীতি কমিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় আরও বাড়ানো যায়, তাহলে বাজেট বাস্তবায়নে উন্নতি হবে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে করের আওতা বাড়াতে হবে।
ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েতুল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে কর্মশালয় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বাজেটের গোপনীয়তা কম। কিন্তু তার পরও বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়ে জবাবদিহিতা খুব একটা নেই। তাই দুর্নীতি বেশি হয়। অথচ অনেক দেশে জবাবদিহিতা বেশি, তাই তাদের দুর্নীতিও কম।
বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. আবু ইউসুফ প্রমুখ।
বক্তারা গতানুগতিকতার বাইরে এসে নতুনভাবে বাজেট উপস্থাপনের পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, বাজেটে আকার বা সংখ্যার চেয়ে অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের আয়ের ওপর কী প্রভাব পড়বে, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া পূর্ববর্তী বাজেট কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এবং নতুন বাজেটে একই বিষয়ে কী রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে সাধারণ মানুষের জন্য সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করতে হবে।
- বিষয় :
- এলডিসি
- বাজেট
- রাজস্ব আদায়
- দুর্নীতি