ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহায়তা করবে আইএফসি

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে  সহায়তা করবে আইএফসি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

শিল্পায়নে জ্বালানির বিকল্প নেই। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো সঞ্চালন সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।

গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় এসব কথা বলেন আইএফসির বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান। শেরাটন বনানীতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আইএফসির ভূমিকা’ শীর্ষক এই মধ্যাহ্নভোজ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।

মার্টিন হল্টম্যান দেশের আর্থিক খাতে সংস্কার অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন আর্থিক খাতে যেসব সংস্কার চলমান, সেগুলো ঠিকভাবেই হচ্ছে। তবে যথাযথ গতিতে এ সংস্কারকাজ এগোচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক আছে। কিন্তু ব্যাংকের অদক্ষতার কারণে গ্রাহকদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়, বাড়তি হারে ঋণের সুদ দিতে হয়। পরিচালন ব্যয় কমাতে ব্যাংকগুলোকে নেপালের ব্যাংকগুলোর মতো একীভূত করা যেতে পারে।

মার্টিন হল্টম্যান বলেন, তিনি বহু দেশে কাজ করলেও বাংলাদেশে কাজ করতে পারা স্বপ্নের মতো। কারণ এ দেশে বেসরকারি খাতের কল্যাণে ধারাবাহিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সর্বাধুনিক কিছু কলকারখানা রয়েছে বাংলাদেশে। অর্থনীতিতে দারুণ চমক দেখিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের সাড়ে তিন কোটি মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে প্রবেশ করবে। তাই সেবা খাতে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ আছে বেসরকারি খাতের। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা মুনাফার বিষয়টি মাথায় রাখেন। তারা প্রবৃদ্ধি বিবেচনা করেন, বিনিয়োগ করলে কী রিটার্ন পাওয়া যাবে সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেন।

স্বাগত বক্তব্যে অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, তাতে বেসরকারি খাতের বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে অর্থনীতির যখন দ্রুত উন্নতি হচ্ছিল, তখন করোনা আঘাত হানে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয় অর্থনীতির। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্ববাজার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যায়। চাপ তৈরি হয় মূল্যস্ফীতির। এসব কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পেরেছে। বেসরকারি খাত সব সময় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন

×