একশ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল বিদেশি ঋণ

ফাইল ফটো
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪ | ১২:২২ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ | ০৬:৪৪
দেশে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ উঠেছে ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার, যা টাকার অঙ্কে ১১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ পরিমাণ বিদেশি ঋণ বর্তমানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৫ গুণেরও বেশি। গতকাল রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদেশি ঋণ উঠেছিল গত জুনে। ওই সময় ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। ডলার সংকটের মধ্যে গত সেপ্টেম্বর শেষে তা কমে ৯৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি ডলারে নেমেছিল। এখন আবার বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৬ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সরকারি খাতে ভর করে সামগ্রিকভাবে বিদেশি ঋণ বাড়লেও বেসরকারি খাতে আরও কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে ঋণ বেড়ে উঠেছে ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে, যা তিন মাস আগে ছিল ৭৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৭২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ প্রতি প্রান্তিকে কমে গত ডিসেম্বর শেষে ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। আগের প্রান্তিক গত সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ২১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। আর গত জুন শেষে ছিল ২২ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ডলারের ওপর চাপ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশি ঋণ নেওয়ার নীতিমালায় শিথিলতা এনেছে। তবে বিনিময় হারজনিত লোকসান বিবেচনায় অনেকে এতদিন তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। আবার বিদেশি ঋণ পরিশোধের দায় যেহেতু ব্যাংকের ওপর থাকে, সে কারণে ব্যাংকগুলোও তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। তবে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধি এবং আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকায় সরবরাহ পরিস্থিতিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই সংকট কমতে শুরু করবে।
- বিষয় :
- ঋণ
- ডলার
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- বিদেশি ঋণ