ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ডলারের দাম বাড়লেও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না

ডলারের দাম বাড়লেও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না

বক্তব্য দিচ্ছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪ | ১৮:১২

ডলারের দাম বাড়লেও আমদানিনির্ভর ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এ জন্য কোরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে না বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ডলারের দাম এক লাফে সাত টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর প্রভাবে আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে, এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে ১১৭ টাকা হলেও এর প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়বে না।

কেন প্রভাব পড়বে না, সেই ব্যাখ্যা দিয়ে আহসানুল ইসলাম বলেন, আমদানিকারকরা অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট দামে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা ১২০ টাকা, ১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন। এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেল ও চিনির দামে কোনো সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে না। এসব ক্ষেত্রে আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরোনো দামেই ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করতে পারবেন।

তাহলে ঈদের পর ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করব।

বাজার মনিটরিংয়ে কি কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।

তিনি বলেন, রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগসন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দুই-এক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবারও সেভাবেই মনিটর করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করব, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।

 

আরও পড়ুন

×