হা-মীম স্পিনিং মিলসের রোটর ইউনিট চালু

শনিবার গাজীপুরে হা-মীম স্পিনিং মিলসের রোটর ইউনিটের উদ্বোধন করেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্ডিটেক্সের কান্ট্রি হেড জাভিয়ের কার্লোস সান্তোজা ওলসিনা। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪ | ০৮:৩৮ | আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ | ১১:৪১
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের অধীন হা-মীম স্পিনিং মিলসের রোটর ইউনিট চালু হয়েছে। স্পিনিং মিলের নতুন ইউনিটের সুতা উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৪৫ টন। এতে ৭৫০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
গতকাল শনিবার গাজীপুরের মাওনাতে হা-মীম টেক্সটাইলস জোনে হা-মীম স্পিনিং মিলসের রোটর ইউনিটের উদ্বোধন করেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বহুজাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্সের কান্ট্রি হেড জাভিয়ের কার্লোস সান্তোজা ওলসিনা। অন্যান্যের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী নিলু, অর্থায়ন সহযোগী বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হা-মীম স্পিনিং মিলসের মহাব্যবস্থাপক (প্রডাকশন) সানজিউ কুমার তিওয়ারি সমকালকে জানান, এ কারখানার মূল (রিং) ইউনিটের মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩৬৫ টন। ১৫টি রোটর মেশিনসহ নতুন ইউনিটের উৎপাদন চালুর ফলে হা-মীম স্পিনিং মিলসের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হবে। হা-মীম টেক্সটাইল জোনে অবস্থিত হা-মীম টেক্সটাইল মিলসের মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার টন। ফলে চাইলে স্পিনিং মিলসই বেশির ভাগ সুতা সরবরাহ করতে পারবে।
সানজিউ কুমার তিওয়ারি বলেন, রোটর ইউনিট স্থাপনের কারণে হা-মীম স্পিনিং মিলসের শুধু উৎপাদন ক্ষমতাই বাড়বে না, বরং নতুন ইউনিটের কারণে ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী অপেক্ষাকৃত কম সময়ে সুতা সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সুতা উৎপাদনে রোটর প্রযুক্তি অপেক্ষাকৃত উন্নত হওয়ায় এতে বিদ্যুতের ব্যবহারও কম হবে।
পরিবেশগত দিক বিবেচনায় হা-মীম স্পিনিং মিলসের রি-সাইকেল ইউনিটও স্থাপন করা হয়েছে। টেক্সটাইল কারখানাসহ স্পিনিং মিলসের অব্যবহৃত অংশের (জুট) ব্যবহার করে নতুন সুতার উৎপাদন হচ্ছে। এই ইউনিটের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ টন।
- বিষয় :
- কর্মসংস্থান কর্মসূচি
- হা-মীম গ্রুপ