ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে এবার এনআরবিসি ব্যাংকে বিক্ষোভ

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে এবার এনআরবিসি ব্যাংকে বিক্ষোভ

ছবি-সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:২৯

চাকরি স্থায়ী ও বেতন বৈষম্য দূর করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এনআরবিসি ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমালসহ ৯ পরিচালকের মালিকানায় গড়ে ওঠা এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট ও ফার্স্ট কর্পোরেশনের মাধ্যমে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের কিছুদিনের মধ্যে স্থায়ী করার আশ্বাস দেওয়া হলেও কয়েক বছর পরও তাদের স্থায়ী না করায় এ বিক্ষোভ করেন তারা।

রোববার মতিঝিলে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ‘বৈষম্যযুক্ত বেতন কাঠামো সংশোধন ও স্থায়ীকরণ চাই’ শিরোনামে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে কয়েক’শ কর্মকর্তা–কর্মচারী অংশ নেন। একটি গ্রুপ মিছিল নিয়ে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। পরে ব্যাংকের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী ডেকে তাদের আন্দোলন স্থগিত করানো হয়। গত আগস্ট মাসে সরকার পতনের পর থেকে সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।

২০১৩ সালে নতুন প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে এনআরবিসি ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়েছে ৯ হাজারের বেশি। বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বেশির ভাগ নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কোনো ধরনের নিয়ম–নীতির তোয়াক্কা না করে জনপ্রতি ৬ থেকে ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে এসব নিয়োগ হয়েছে এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পায়। এছাড়া জোর করে ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া, ঋণ জালিয়াতি, কেনাকাটায় অনিয়মের নানা অভিযোগে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা, অফিস সহায়ক ও পুলের গাড়ি সরবরাহকারী নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে চেয়ারম্যানসহ ৯ জন পরিচালক মিলে ‘এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানি খুলেন। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৭১৪ কর্মী নিয়োগ হয়েছে। সব মিলিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রায় ৫ হাজার। কোনো ধরনের দরপত্র আহ্বান এবং অভিজ্ঞতা যাচাই ছাড়াই এসব নিয়োগের বিপরীতে সার্ভিস চার্জ বাবদ ব্যাংক থেকে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন তারা। এছাড়া এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি মাসের বেতনের একটি অংশ কমিশন হিসেবে কেটে নেওয়া হয়। এসব বৈষম্য নিরসন চান তারা।

আরও পড়ুন

×