ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টিকতে আরও সহায়তা চায় বিজিএমইএ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টিকতে আরও সহায়তা চায় বিজিএমইএ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ১৩:০২

করোনার কারণে সংকটে পড়া পোশাক খাতের সহায়তায় সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পরিশোধে পাঁচ বছর সময় চায় বিজিএমইএ। করোনার প্রথম ঢেউ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবার সংকটে পড়েছে পোশাক খাত। এই সংকট কাটাতে আরও প্রণোদনা চান উদ্যোক্তারা।

এর আগে প্রণোদনা ঘোষণার সময় ঋণ পরিশোধের সময়সীমা দুই বছর নির্ধারণ করা হয়। ঋণ পরিশোধের সময় শুরুর কাল (মরিটরিয়াম) ছিল ছয় মাস। এটা বাড়িয়ে এক বছর করারও দাবি জানানো হয়েছে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই সংবাদ সম্মেলনে করোনাকালে পোশাক খাতের রপ্তানিতে বিভিন্ন সংকটের তথ্য তুলে ধরা হয়। রপ্তানির পরিমাণ, দর ও আদেশ কমে যাওয়ার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি। করোনাকালে শ্রমিকদের মাঝে সংক্রমণ ঠেকাতে বিজিএমইএর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন ড. রুবানা।

প্রণোদনার ঋণ পরিশোধ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনার প্রাথমিক বিপর্যয় তারা কাটিয়ে উঠেছেন। যদিও পুরোপুরি মুক্ত হওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে অক্টোবর ও নভেম্বরে রপ্তানি কমেছে। প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপানে পোশাক রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৮, ১০, ৬, ১৫, ৩০ ও ২৮ শতাংশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে লকডাউনের প্রভাবে খুচরা বিক্রি এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমছে। এর প্রভাবে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি মূল্য উভয়ই কমছে।

তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জুন নাগাদ করোনা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব হবে। এ সময় পর্যন্ত বিদ্যমান প্রণোদনা প্যাকেজের পাশাপাশি নতুন সহায়তার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার অনুরোধও জানান তিনি। সরকারের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে আগামী জানুয়ারি থেকেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে উদ্যোক্তাদের।

পোশাকের দর হ্রাসের পরিস্থিতিকে 'নজিরবিহীন' উল্লেখ করেন বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনার আগে থেকেই পোশাকের দর কমতে থাকে। করোনায় তা তীব্র আকার ধারণ করে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে পোশাক রপ্তানির মূল্য কমেছে গড়ে বছরে প্রায় ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। তবে করোনার কারণে গত সেপ্টেম্বরে পোশাকের দরপতন হয় ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ছিল ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।

তিনি বলেন, 'এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, পোশাক শিল্পের আকাশে মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, যা একা উদ্যোক্তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।'

আরও পড়ুন

×