ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

৭০০০ পয়েন্টে উঠে ফের অস্থির ডিএসইএক্স সূচক

৭০০০ পয়েন্টে উঠে ফের অস্থির ডিএসইএক্স সূচক

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২২ | ০১:২৩ | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২২ | ০১:২৩

দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব কিছু প্রায় ঠিকঠাকই চলছিল। টানা সপ্তম দিনে ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারবাজার। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ও সূচকের বৃদ্ধি নিয়ে লেনদেন ছিল। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক মাস পর ৭০০০ পয়েন্টের উপর উঠে এসেছিল। কিন্তু ১২টার পর বড় কিছু শেয়ার দর হারাতে থাকলে সূচক হটাৎ নিম্নমুখী হয়।

রোববার দুপর সাড়ে ১২টায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ১৩৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৯৬ শেয়ার দর হারিয়ে এবং ৪৫টি দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল। 

অথচ এর আধা ঘণ্টা আগে দুপর ১২টায় ২১২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ১০০ শেয়ার এবং দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হতে দেখা যায় ৬৩টিকে।

দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স সূচক ১৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৯৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। এর আধা ঘণ্টা আগে সূচকটি ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৭০১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর প্রথম তিন মিনিটেই অধিকাংশ শেয়ারের দরবৃদ্ধির ওপর ভর করে সূচকটি ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ৭০২৯ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল। এর পর সাড়ে ১০টায় ওই অবস্থান থেকে কিছুটা নিচে নেমে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূচকটি ৭০১৫ থেকে ৭০২০ পয়েন্টের মধ্যে ওঠানামা করছিল। এর পরই সূচক হটাৎ নিম্নমুখী হতে শুরু করে।

লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, মূলত বেক্সিমকো লিমিটেড, রবি, ডেল্টা লাইফ, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর শেয়ারদর কমতে থাকলে সূচক দ্রুত কমতে থাকে।

অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ারদর সকাল থেকে নিম্নমুখী ছিল। এ সময় ব্যাংকগুলোর দর হারানো বেড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়। বড় শেয়ারের দর কমায় সূচক নিম্নমুখী হলে দরপতনের ভয়ে অন্য শেয়ারের বিক্রি বেড়েছে।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, শেয়ার লেনদেনে এখনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি উদ্ভব হয়নি। টানা দরবৃদ্ধির পর স্বাভাবিকভাবে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। এর কিছুটা প্রভাব লেনদেনে আছে। তবে সূচকের ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বেশি ফেলছে।

অব্যাহত দরপতনের প্রেক্ষাপটে গত ২৫ অক্টোবর ডিএসইএক্স ৭০০০ পয়েন্টের নিচে নেমেছিল। গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সূচকটি ৬৮০০ থেকে ৭০০০ পয়েন্টের নিচে ওঠানামা করছিল।

সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর ৭০০০ পয়েন্ট পার করে ফের দরপতন শুরু হলে গত ২৬ ডিসেম্বর ৬৬০৯ পয়েন্ট পর্যন্ত গিয়েছিল। 

রোববার লেনদেনের প্রথম আড়াই ঘণ্টায় ডিএসইতে ৮৪০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। অথচ আধা ঘণ্টা আগ পর্যন্ত কেনাবেচা হয়েছিল ৬৮৫ কোটি টাকার শেয়ারের। অর্থাৎ এ আধা ঘণ্টাতেই দেড়শ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্তই ৮০৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।

বরাবরের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারগুলো দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে। সর্বাধিক ১০ শতাংশ দর বেড়ে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির শেয়ার ছিল দরবৃদ্ধির শীর্ষে। শেয়ারটি ১১ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছিল। 

৯ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে এর পরই ছিল বসুন্ধরা পেপার, ফারইস্ট লাইফ, রংপুর ফাউন্ড্রির শেয়ার।

লেনদেনের আড়াই ঘণ্টা শেষে বেক্সিমকো লিমিটেড ছিল সর্বাধিক লেনদেন হওয়া শেয়ারের তালিকায়। এ সময় পর্যন্ত কোম্পানিটির কেনাবেচা হওয়া শেয়ারের মূল্য ছিল প্রায় ৬৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়সা দর হারিয়ে ১৪৯.৫০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছিল।

লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ডেল্টা লাইফ, লাফার্জ-হোলসিম, পাওয়ার গ্রিড।

আরও পড়ুন

×