হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে এক কার্গো এলএনজি

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:৩৮ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:৩৮
বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে এক বছর আগের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি দামে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি কেনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে এক কার্গোতে করে এ পরিমাণ এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়ছে ২৯ দশমিক ৭০ ডলার, যা গত বছর মার্চে ছিল ৭ দশমিক ২১ ডলার। তখন একই এলএনজি সরবরাহকারী কোম্পানি ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে ওই দরে কেনা হয়েছিল এলএনজি।
তবে আজকের অনুমোদন দেওয়া দর এর আগে গত ৬ অক্টোবর ওই কোম্পানির কাছ থেকে কেনা দরের চেয়ে কম। ওই দিন ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটি ওই কোম্পানির কাছ থেকে প্রতি ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজি ৩৬ দশমিক ৯৫ ডলার মূল্যে কিনতে অনুমোদন দিয়েছিল। যে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তুলনামূলক কম দামে কিনছে তারা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী বৈঠক শেষে জানান, আন্তর্জাতিক দরপত্রে পেট্রোবাংলার তালিকাভুক্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শুধু ভিটল এনার্জিই অংশ নেয় এবং তাদের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হয়। এ জন্য বাংলাদেশি টাকায় মোট খরচ হচ্ছে এক হাজার চার কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বাড়তে শুরু করে। বিশ্নেষকরা বলছেন, গত বছর ছিল অস্থিরতম সময়। প্রতি ইউনিটের দাম দুই ডলার থেকে বেড়ে ৫৬ ডলার পর্যন্ত হয়েছে। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যাপক দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার জ্বালানি কেনার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে। ওই সময় জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের পাঁচ কার্গো এলএনজি কেনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় তা তিন কার্গোতে নামিয়ে আনার কথা বলেছিলেন তিনি।
আজকের ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের এগ্রোকর্পো ইন্টারন্যাশনাল থেকে ৫০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রতি টন ৩৯০ দশমিক ৯২ ডলার হিসাবে মোট খরচ হচ্ছে এক কোটি ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
আর অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আগামী ৮ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এফএও রিজিওনাল কনফারেন্স ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের ৩৬তম আসরের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ এই প্রথম এ সম্মেলনের আয়োজক।