ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মাসিক: পদক্ষেপ ও বিনিয়োগের এখনই সময়

মাসিক: পদক্ষেপ ও বিনিয়োগের এখনই সময়

হাসিন জাহান ও মাহফুজ-উর-রহমান

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২১ | ১২:০০ | আপডেট: ২৯ মে ২০২১ | ১৫:৫২

মাসিক স্বাস্থ্য কি কেবলই একজন নারীর শারীরিক পরিবর্তনের অনিবার্য পরিণতি, নাকি তার সার্বিক বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ? 'মাসিক' শব্দটি নিয়ে আমাদের সমাজে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা আর কুসংস্কার প্রচলিত থাকায় মাসিকের দিনগুলোতে একজন নারী বা কিশোরী এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়েন, তাদের জীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ! মাসিক নিয়ে সঠিক তথ্যের অভাব, অন্ধ কুসংস্কার এবং তা থেকে ক্রমাগত ভুল চর্চা একজন কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যকে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে, যা হতে পারে তার অকাল মৃত্যুর কারণ!

সংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে মাসিক নিয়ে আলোচনা মানেই এক গোপন বা অচ্ছুত বিষয় নিয়ে কথা বলা। তবে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রচেষ্টা, ক্যাম্পেইন এবং অ্যাডভোকেসির ফলে ধীরে ধীরে মাসিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় একটি পরিবেশ গড়ে উঠেছে। আর বিশ্বব্যাপী 'মাসিক স্বাস্থ্যবিধি' দিবস পালন তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

২৮ মে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস। আমাদের দেশে মাসিক নিয়ে নীরবতা ভাঙার প্রথম কার্যকর অ্যাডভোকেসি উদ্যোগ ছিল 'আসুন মাসিক নিয়ে কথা বলি'। উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সংঘবদ্ধ ক্যাম্পেইনটির ট্যাগ লাইন স্লোগানটি পরবর্তীকালে দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এবারের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'মাসিক স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি :পদক্ষেপ এবং বিনিয়োগের এখনই সময়'। অর্থাৎ, মাসিক নিয়ে এখন আমরা কেবল আর কথা বলাতেই সন্তুষ্ট নই, এখন সময় এসেছে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর।

কয়েক বছরে মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং প্রসারে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ছিল সক্রিয়, যা সার্বিকভাবে নারীর স্বাস্থ্য অধিকার সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ সময়ে সংগঠনগুলোর বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ও জোটবদ্ধ কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও মাসিক স্বাস্থ্যের প্রসারে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং সেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়। স্কুল-মাদ্রাসাসহ দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই সরকারের অর্থায়নে উন্নত মানের নারী এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব 'ইনক্লুসিভ মডেল' টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নির্মিত টয়লেটগুলো নিয়মিতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং সেগুলোর ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি আলাদা তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে দেশের প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অনেক নারী ও কিশোরী প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্পন্ন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। তবে বলাবাহুল্য, প্রয়োজনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। তবে এ অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে, সরকারকে এ ধরনের প্রকল্পে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে। অভিজ্ঞতা বলছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ বিনিয়োগ ছাড়া অনেক ভালো উদ্যোগ এবং প্রকল্পও এক সময় মুখ থুবড়ে পড়ে।

এ বছর যখন বিশ্ব মাসিক দিবস পালিত হলো, তখনও করোনা অতিমারির প্রভাবে আমাদের দেশের লাখ লাখ নারী ও কিশোরী, বিশেষ করে কর্মজীবী নারী, বস্তিবাসী, স্বল্প আয়ের পরিবারের সদস্যরা নানা ধরনের বঞ্চনা ও শারীরিক জটিলতার মধ্য দিয়ে তাদের মাসিককালীন দিনগুলো অতিবাহিত করছেন। ধারাবাহিক লকডাউন পরিস্থিতি তাদের পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের নারীদের মাসিক স্বাস্থ্যকেও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়। ওয়াটারএইড পরিচালিত একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার সময়ে নারীর মাসিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের জোগান হ্রাস পায়, ফলে অধিকাংশ নারীই বাধ্য হন কম দামের এবং বেশি সময় ব্যবহার করা যাবে এমন নিম্নমানের ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ ব্যবহার করতে। এগুলো তাদের বাড়তি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। যেহেতু আমরা এখনও অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলেছি, তাই এ পরিস্থিতিতে বস্তিবাসী, উপকূল, পাহাড়ি এবং গ্রামীণ এলাকায় প্রান্তিক ও দরিদ্র নারী ও কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই। যে কোনো ধরনের দুর্যোগময় জরুরি পরিস্থিতিতে এবং জীবন রক্ষাকারী অন্যান্য জরুরি সেবায় নারীর মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সব মহলকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে হবে এবং যার জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তবে এ বছরের 'মাসিক দিবস' পালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক প্রেক্ষাপট রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিসেফের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ব্রাঞ্চ (পিএসবি) বাংলাদেশের জন্য একটি জাতীয় মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন করেছে, যা সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন জাতীয় ফোরাম কর্তৃক অনুমোদিতও হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের একটি অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে প্রণীত কৌশলপত্র অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং বহু প্রতীক্ষিতও বটে। এজন্য এটি প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারের সকল বিভাগ, ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, একটি সামগ্রিক কৌশলপত্র তৈরির চাইতে সেটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এখানে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, সেবা প্রদানকারী সংস্থা এবং মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে যে ধরনের আন্তঃসমন্বয়, স্থানীয় উদ্যোগ, জনসম্পৃক্ততা ইত্যাদির প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করতে হলে কৌশলপত্রটি বাস্তবায়নের শুরুতেই বাজেটসহ একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সেবা প্রদানকারী সংস্থার সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে যে কাজগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রহণ করা যেতে পারে, সেগুলো হলো- এক. সব নারী ও কিশোরীর জন্য মাসিকের সময় ব্যবহারযোগ্য নিরাপদ উপকরণ (স্যানিটারি প্যাড) নিশ্চিত করা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শ মতো গত অর্থবছর বাজেটে সরকার স্যানিটারি প্যাড তৈরির কাঁচামালের ওপর সম্পূরক শুল্ক্ক প্রত্যাহার করে নিলেও বাস্তবে বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং দাম না কমায় দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ দরিদ্র নারী ও কিশোরীদের কাছে এই স্যানিটারি প্যাড এখনও ক্রয় ক্ষমতার বাইরেই রয়ে গেছে। এ উপকরণগুলোর দাম যেন সব নারীর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি চলমান রয়েছে। এসব পণ্যের অর্থবহ মূল্য নির্ধারণ, প্রয়োজনে সব ধরনের কর মওকুফ, বাজার মনিটরিং ইত্যাদির পাশাপাশি প্রয়োজন বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা।

দুই. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, অফিস-আদালত ও পাবলিক প্লেস, কমিউনিটির সব স্থানে নিরাপদ পানিসহ পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধা স্থাপন করতে হবে। প্রতিবন্ধীবান্ধব ডিজাইন, জেন্ডার সংবেদনশীলতা, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ইত্যাদি বিবেচনা করেই এসব টয়লেট গড়ে তুলতে হবে।

এসব টয়লেটের একটি আবশ্যিক অংশ হবে 'মাসিক কর্নার'। সেখানে মাসিকের নিরাপদ উপকরণ সরবরাহ করা হবে।

তিন. টয়লেটগুলোতে মাসিকের সময় ব্যবহূত উপকরণ (ব্যবহূত কাপড়/স্যানিটারি ন্যাপকিন) নিরাপদ নিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কোনো প্রযুক্তি বা সহজলভ্য পদ্ধতি খুঁজে বের করার জন্য বেশি বেশি গবেষণা এবং বিনিয়োগ দুটিই বাড়াতে হবে।

চার. মাসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া এবং সে সেবায় নারীর অভিগম্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাসিক সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে বিদ্যমান ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি আয়োজন করতে হবে। নারীর পাশাপাশি সমাজে পুরুষ ও কিশোরদের, সাধারণ মানুষ ও জরুরি সেবা প্রদানকারীদেরও এসব সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতার আনা জরুরি।

পাঁচ. করোনাকালীন অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে অনলাইনভিত্তিক একটি তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও বিনিয়োগ দরকার।

ছয়. মাসিক স্বাস্থ্য এখনও অনেক মানুষের কাছে একটি ট্যাবু বিষয়। এজন্য ব্যাপক সংখ্যক মানুষের আচরণ পরিবর্তন একটি চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে একটি কার্যকর সামাজিক আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ কৌশল গ্রহণ করা দরকার। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সহায়ক উপকরণ তৈরি করতে হবে, যা নির্দিষ্ট বয়স ও এলাকার জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে তুলবে।

বেশ কয়েক বছর থেকেই বিভিন্ন অ্যাডভোকেসি কর্মসূচি, নীতিমালা প্রণয়ন এবং গবেষণায়-মাসিক স্বাস্থ্য- শব্দটির ব্যবহার বেড়েছে, তবে এর একটি সামগ্রিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ইনক্লুসিভ সংজ্ঞার অভাব বা অপূর্ণতা ছিল। মাসিক আসলেই এমন কিছু নয়, বরং নিছক একটি শারীরিক পরিবর্তন এমন 'চর্বিত চর্বণ' ধারণায় আটকা থাকা নারীর 'মাসিক স্বাস্থ্য' তাই বরাবরই থেকে গেছে উপেক্ষিত এবং খণ্ডিত, যা প্রকারন্তরে নারীর মূল স্বাস্থ্য অধিকার বা ক্ষমতায়নের মূল আবেদনকেই সংকুচিত করে ফেলেছে। সম্প্রতি দ্য গ্লোবাল মিনিস্ট্রুয়াল কালেক্টিভ 'সেক্সুয়াল অ্যান্ড রি-প্রডাক্টিভ হেলথ ম্যাটার্স' নামক আন্তর্জাতিক জার্নালে মাসিক স্বাস্থ্য :পলিসি, চর্চা ও গবেষণার জন্য ব্যবহূত সংজ্ঞা শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। এটি সাম্প্রতিক সময়ে মাসিক স্বাস্থ্যর ওপর সর্বাধিক ফলপ্রসূ এবং সরকারি সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল প্রদত্ত স্বাস্থ্যের সংজ্ঞার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সংজ্ঞাটি শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মাসিক স্বাস্থ্য অর্জনের জন্য বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে।

মাসিক স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন এমন বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এ সংজ্ঞায়নে অবদান রেখেছেন। সংজ্ঞাটির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে যে কোটি কোটি নারী ঋতুস্রাবের অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তাদের সবার ঋতুকালীন শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লিঙ্গ সমতাভিত্তিক একটি জনস্বাস্থ্যবান্ধব সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এ সংজ্ঞায় মাসিককালীন সুনির্দিষ্ট করে নারীর জন্য যে ধরনের সেবা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তাদের পছন্দসই উপকরণ ব্যবহার ও পরিবর্তন করা, নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি পালন, আরাম, সুরক্ষা ও গোপনীয়তা, কার্যকর ও সাশ্রয়ী মাসিক উপকরণ ব্যবহার, পানি স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যকর পরিষেবাগুলো লাভ করা ইত্যাদি। এছাড়া এ সময়ে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি চর্চা সম্পর্কে সঠিক, সময়োপযোগী, বয়স-উপযুক্ত তথ্য পাওয়া ইত্যাদি। আজ মাসিক দিবসের প্রাক্কালে এই অফিসিয়াল সংজ্ঞাটি সঠিকভাবে আত্মস্থ করা এবং জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নে তার মূল ভাবটি অনুসরণ করার জন্য সরকার ও সংশ্নিষ্ট সব মহলের কাছে জোর দাবি রইল।

লেখকদ্বয় যথাক্রমে: চেয়ারপারসন, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম ও কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ

আরও পড়ুন

×