তথ্যপ্রযুক্তি
মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে কেন পিছিয়ে

রাশেদ মেহেদী
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২১ | ১২:০০
মোবাইল ইন্টারনেটের গতির বিশ্বসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১৩৫তম। এ অবস্থান নির্দেশ করে- ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রাহকসেবার মানে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। কারণ ইন্টারনেট অবকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিপুল কর্মকাণ্ডের নিট ফল হচ্ছে এর গতি। গ্রাহক শেষ পর্যন্ত যে গতিতে সেবা পাচ্ছেন, সেটাই নির্দেশ করে আমাদের অগ্রগতি সত্যি কতটা হলো। মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯০ শতাংশের বেশি প্রকৃতপক্ষে মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে- এত আয়োজন, এত ব্যয়বহুল প্রকল্প আর বিদেশি বিনিয়োগের বড় বড় মোবাইল অপারেটর বিদ্যমান থাকার পরও আমরা ইন্টারনেটের গতিতে কেন পিছিয়ে? সোজা উত্তর হচ্ছে, মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবায় কাঁচামালের ঘাটতি। এ কাঁচামালের নাম বেতার তরঙ্গ, যাকে তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় প্যাকেজ হিসেবে বিবেচনা করে 'স্পেকট্রাম' বলা হয়। টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো যতই শক্তিশালী হোক; যত বেশি ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ নিশ্চিত হোক; স্পেকট্রাম জোগান পর্যাপ্ত না হলে মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবার কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত হবে না।
যেমন এক মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ গ্রাহককে সেবা দেওয়ার বিষয়টি আদর্শ আনুপাতিক হার হিসেবে বিবেচিত হয়। সেখানে ২০ লাখ গ্রাহকের জন্য এক মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গ ব্যবহারের আনুপাতিক হার হলে মোবাইল ইন্টারনেটে কাঙ্ক্ষিত গতি পাওয়া সম্ভব নয়, যতই শীর্ষ কিংবা চ্যাম্পিয়ন অপারেটর হোক। বাংলাদেশে এটাই হচ্ছে।
আরও কিছু প্রশ্ন। বেতার তরঙ্গের পর্যাপ্ততা কেন নিশ্চিত হচ্ছে না? বেতার তরঙ্গের মালিক রাষ্ট্র। বাংলাদেশে যেভাবে ট্রান্সমিশন অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, ব্যান্ডউইডথের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা হয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটেছে, মানুষের হাতে ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী স্মার্ট ডিভাইস তুলে দেওয়ার কার্যক্রম এগিয়েছে; সে তুলনায় জাতীয় স্পেকট্রাম নীতিমালা কতটা উন্নত হয়েছে? বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে ব্যবহূত ব্যান্ডের স্পেকট্রামের পরিত্যক্ত ও অপব্যবহার নিশ্চিত করে কিংবা নতুন ব্যান্ডের স্পেকট্রাম উন্মুক্ত করার মাধ্যমে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের এই মৌলিক কাঁচামালের পর্যাপ্ততা বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ চোখের সামনে আছে কি?
গত মার্চ মাসে সর্বশেষ ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ আর ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ২০ মেগাহার্টজ পরিমাণ বেতার তরঙ্গ নিলাম হয়েছে। সেই নিলাম থেকে দেশের শীর্ষ অপারেটর ১০ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ এবং অন্য দুটি অপারেটর ৫ মেগাহার্টজ করে বরাদ্দ নেয়। বেতার তরঙ্গের নতুন এই বরাদ্দ ছিল প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। এখন কি মোবাইল অপারেটরদের সামনে কেনার মতো বেতার তরঙ্গ আছে? অত্যন্ত কার্যকর ২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বেতার তরঙ্গের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছে? নতুন কোনো ব্যান্ড কি ব্যবহার উপযোগী করে উন্মুক্ত করা হয়েছে?
বলা হতে পারে, মোবাইল অপারেটররা যদি চায়, তাহলে নতুন করে বেতার তরঙ্গ সংস্থান করা হতে পারে। মোবাইল অপারেটররা চাইবে কেন? তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ কী? নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে যেভাবেই হোক গ্রাহকসেবার আদর্শ মান নিশ্চিন্ত করতে হবে। সে জন্য মোবাইল অপারেটরদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বেতার তরঙ্গের ব্যবহারও নিশ্চিত করার দায়িত্ব টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই নিতে হবে। এর বিকল্প নেই। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, সেই উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। চোখে পড়ে ফাইভজির জন্য তোড়জোড়। কারণ ফাইভজির জন্য নিলাম হলে বেতার তরঙ্গ বিক্রিতে আরও উচ্চমূল্য ধরে রাজস্ব আদায়ের আরও বড় হিসাব দেখানো যাবে। কিন্তু নিদারুণ বাস্তবতা হচ্ছে, ফাইভজি প্রকৃতপক্ষে আমজনতার নিত্যদিনের ব্যবহারের প্রযুক্তি নয়। ফাইভজি আসছে মূলত শিল্প ক্ষেত্রের রোবটিকস, আইটির মতো প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী বড় ভলিউমের ব্যান্ডউইডথ পরিবহন নিশ্চিত করতে। অতএব ফাইভজি চালুর ক্ষেত্রে নীতিমালার জন্য শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহারের বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিতে হবে। আর সাধারণ গ্রাহকের জন্য ফোরজিই আদর্শ এবং ফাইভজি চালুর পরও ফোরজিই এ ক্ষেত্রে আদর্শ প্রযুক্তি থাকবে। সারাদেশে ফোরজি ছড়িয়েও গেছে।
এখন দরকার প্রয়োজনীয় পরিমাণ বেতার তরঙ্গ। প্রয়োজনে দাম কমিয়ে হলেও আগে মোবাইল অপারেটরদের ফোরজি সেবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বেতার তরঙ্গ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আইন ও বিধির প্রয়োগে অপারেটরদের ফোরজির জন্য বেতার তরঙ্গ কিনতে বাধ্য করতে হবে। এর পর ফাইভজির কথা ভাবা যেতে পারে। না হলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে আগামী প্রান্তিকের প্রতিবেদনে আরও দু'ধাপ পিছিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মোবাইল অপারেটররা স্বাভাবিকভাবেই লাভের হিসাব করবে। যদি কম বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে ব্যয়ের হিসাব কম রেখে আদর্শ মানের নিচে গ্রাহকসেবার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, তাহলে কেন যাবে না? যদি বেতার তরঙ্গের দাম বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়, যেটা তাদের পরিচালনা ব্যয় এবং রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলেও অপারেটররা আদর্শ মানের প্রয়োজন অনুযায়ী বেতার তরঙ্গ কিনবে না।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বেতার তরঙ্গের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে কিংবা ট্রান্সমিশন সেবার জটিলতা নিরসনে? সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে দিকনির্দেশনা আসতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলায় আদর্শ গতির জন্য সেই দিকনির্দেশনা যত তাড়াতাড়ি আসবে ততই মঙ্গল।
সাংবাদিক
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে- এত আয়োজন, এত ব্যয়বহুল প্রকল্প আর বিদেশি বিনিয়োগের বড় বড় মোবাইল অপারেটর বিদ্যমান থাকার পরও আমরা ইন্টারনেটের গতিতে কেন পিছিয়ে? সোজা উত্তর হচ্ছে, মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবায় কাঁচামালের ঘাটতি। এ কাঁচামালের নাম বেতার তরঙ্গ, যাকে তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় প্যাকেজ হিসেবে বিবেচনা করে 'স্পেকট্রাম' বলা হয়। টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো যতই শক্তিশালী হোক; যত বেশি ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ নিশ্চিত হোক; স্পেকট্রাম জোগান পর্যাপ্ত না হলে মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবার কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত হবে না।
যেমন এক মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ গ্রাহককে সেবা দেওয়ার বিষয়টি আদর্শ আনুপাতিক হার হিসেবে বিবেচিত হয়। সেখানে ২০ লাখ গ্রাহকের জন্য এক মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গ ব্যবহারের আনুপাতিক হার হলে মোবাইল ইন্টারনেটে কাঙ্ক্ষিত গতি পাওয়া সম্ভব নয়, যতই শীর্ষ কিংবা চ্যাম্পিয়ন অপারেটর হোক। বাংলাদেশে এটাই হচ্ছে।
আরও কিছু প্রশ্ন। বেতার তরঙ্গের পর্যাপ্ততা কেন নিশ্চিত হচ্ছে না? বেতার তরঙ্গের মালিক রাষ্ট্র। বাংলাদেশে যেভাবে ট্রান্সমিশন অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, ব্যান্ডউইডথের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা হয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটেছে, মানুষের হাতে ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী স্মার্ট ডিভাইস তুলে দেওয়ার কার্যক্রম এগিয়েছে; সে তুলনায় জাতীয় স্পেকট্রাম নীতিমালা কতটা উন্নত হয়েছে? বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে ব্যবহূত ব্যান্ডের স্পেকট্রামের পরিত্যক্ত ও অপব্যবহার নিশ্চিত করে কিংবা নতুন ব্যান্ডের স্পেকট্রাম উন্মুক্ত করার মাধ্যমে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের এই মৌলিক কাঁচামালের পর্যাপ্ততা বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ চোখের সামনে আছে কি?
গত মার্চ মাসে সর্বশেষ ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ আর ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ২০ মেগাহার্টজ পরিমাণ বেতার তরঙ্গ নিলাম হয়েছে। সেই নিলাম থেকে দেশের শীর্ষ অপারেটর ১০ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ এবং অন্য দুটি অপারেটর ৫ মেগাহার্টজ করে বরাদ্দ নেয়। বেতার তরঙ্গের নতুন এই বরাদ্দ ছিল প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। এখন কি মোবাইল অপারেটরদের সামনে কেনার মতো বেতার তরঙ্গ আছে? অত্যন্ত কার্যকর ২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বেতার তরঙ্গের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছে? নতুন কোনো ব্যান্ড কি ব্যবহার উপযোগী করে উন্মুক্ত করা হয়েছে?
বলা হতে পারে, মোবাইল অপারেটররা যদি চায়, তাহলে নতুন করে বেতার তরঙ্গ সংস্থান করা হতে পারে। মোবাইল অপারেটররা চাইবে কেন? তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ কী? নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে যেভাবেই হোক গ্রাহকসেবার আদর্শ মান নিশ্চিন্ত করতে হবে। সে জন্য মোবাইল অপারেটরদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বেতার তরঙ্গের ব্যবহারও নিশ্চিত করার দায়িত্ব টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই নিতে হবে। এর বিকল্প নেই। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, সেই উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। চোখে পড়ে ফাইভজির জন্য তোড়জোড়। কারণ ফাইভজির জন্য নিলাম হলে বেতার তরঙ্গ বিক্রিতে আরও উচ্চমূল্য ধরে রাজস্ব আদায়ের আরও বড় হিসাব দেখানো যাবে। কিন্তু নিদারুণ বাস্তবতা হচ্ছে, ফাইভজি প্রকৃতপক্ষে আমজনতার নিত্যদিনের ব্যবহারের প্রযুক্তি নয়। ফাইভজি আসছে মূলত শিল্প ক্ষেত্রের রোবটিকস, আইটির মতো প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী বড় ভলিউমের ব্যান্ডউইডথ পরিবহন নিশ্চিত করতে। অতএব ফাইভজি চালুর ক্ষেত্রে নীতিমালার জন্য শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহারের বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিতে হবে। আর সাধারণ গ্রাহকের জন্য ফোরজিই আদর্শ এবং ফাইভজি চালুর পরও ফোরজিই এ ক্ষেত্রে আদর্শ প্রযুক্তি থাকবে। সারাদেশে ফোরজি ছড়িয়েও গেছে।
এখন দরকার প্রয়োজনীয় পরিমাণ বেতার তরঙ্গ। প্রয়োজনে দাম কমিয়ে হলেও আগে মোবাইল অপারেটরদের ফোরজি সেবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বেতার তরঙ্গ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আইন ও বিধির প্রয়োগে অপারেটরদের ফোরজির জন্য বেতার তরঙ্গ কিনতে বাধ্য করতে হবে। এর পর ফাইভজির কথা ভাবা যেতে পারে। না হলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে আগামী প্রান্তিকের প্রতিবেদনে আরও দু'ধাপ পিছিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মোবাইল অপারেটররা স্বাভাবিকভাবেই লাভের হিসাব করবে। যদি কম বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে ব্যয়ের হিসাব কম রেখে আদর্শ মানের নিচে গ্রাহকসেবার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, তাহলে কেন যাবে না? যদি বেতার তরঙ্গের দাম বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়, যেটা তাদের পরিচালনা ব্যয় এবং রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলেও অপারেটররা আদর্শ মানের প্রয়োজন অনুযায়ী বেতার তরঙ্গ কিনবে না।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বেতার তরঙ্গের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে কিংবা ট্রান্সমিশন সেবার জটিলতা নিরসনে? সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে দিকনির্দেশনা আসতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলায় আদর্শ গতির জন্য সেই দিকনির্দেশনা যত তাড়াতাড়ি আসবে ততই মঙ্গল।
সাংবাদিক
- বিষয় :
- তথ্যপ্রযুক্তি
- রাশেদ মেহেদী