প্রতিবেশ
সৈকত সুরক্ষায় 'ডেইল' পুনরুদ্ধার করুন

মোহাম্মদ আরজু
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০০
কক্সবাজার-টেকনাফের অধিকাংশ জায়গায় সমুদ্রসৈকতের দুরবস্থা প্রকট। স্থানীয় লতাপাতা-ঝোপঝাড়-গাছগাছালি বিলুপ্তপ্রায়। সামুদ্রিক ও উপকূলীয় পাখপাখালিও নেই তেমন। সৈকতের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ ডেইল প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। ভাঙতে ভাঙতে এখন অনেক জায়গায় জোয়ার-ভাটার মাঝখানের কাদামাটি ছাড়া বালুময় সৈকত বলে কিছু নেই। এ দুরবস্থার পেছনের প্রথম কারণ ডেইল ও সৈকতে আগ্রাসী এবং ক্ষতিকর গাছ অস্ট্রেলিয়ান পাইন তথা ঝাউ বাগান করা। দ্বিতীয়ত, জিও-টিউব ও কংক্রিটের টেট্রাপড নির্বিচারে বসানো।
দেখা যাচ্ছে, যেখানে সৈকত বালুবঞ্চিত হয়েছে, সেখানেই ভাঙন বেশি। দালানবাড়ি, পাকা রাস্তা বা অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার চিন্তা থেকে কংক্রিটের দেয়াল কিংবা ব্লক বা টেট্রাপড বা জিও-টিউব বসানো হয়েছে। সাগরপাড় পাকা করায় কিছু জায়গায় উপকূলীয় জমি ও এসব স্থাপনা অন্তত কিছুকালের জন্য ভাঙন থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু এতে ভাঙনের চাপ পুরোটা পড়ছে সৈকতের ওপর। ফলে সাগর আর পাকার মাঝখানে বালুময় সৈকত থাকছে না শেষ পর্যন্ত।
সাগরপাড়ে বহুকাল ধরে সৈকতের ভাঙা-গড়ার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ছিল। কারণ সৈকতের স্বাস্থ্য ভালো ছিল। উপকূলীয় জমি আর সৈকতের মাঝখানে ছিল উঁচু উঁচু ডেইল। এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পানির বাড়তি জোয়ার ও ঘন ঘন ঝোড়ো হাওয়ার পরও ডেইল-সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে কিছুই ভাঙছে না; না সৈকত, না উপকূলীয় জমি। যদি প্রচুর বালু থাকে সৈকতে, তবেই সৈকতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সৈকতে প্রাকৃতিকভাবে বালু সরবরাহে যদি বাধা দেওয়া হয়, তবে সৈকত ভাঙবেই। সৈকতে বালুর আসা-যাওয়ার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় বাধা না দিয়ে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা করলে সৈকতে কখনও বালুর অভাব হওয়ার কথা নয়।
সৈকতে বালু আসে দুটো উৎস- স্থলভাগ ও সাগর থেকে। সাগরের স্রোতে বালু এসে উপকূলে জমা হয়ে সৈকত তৈরি হয়। এতে সৈকত চওড়া ও উঁচু হয়। সাগরসৈকতের অন্য পাশে উপকূলীয় জমির দিকে তৈরি হয় বালুর ঢিবি- ডেইল, যেখান থেকে আবার বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে বালু সরবরাহ হয় সৈকতজুড়ে। যখন ঝোড়ো আবহাওয়া হয় তখন উঁচু ও শক্তিশালী ঢেউয়ের প্রভাবে সৈকতে নানা অদল-বদল হয়; সৈকতের আকার-আকৃতির বদল হয়। সৈকত ও ডেইলের বালু সামাল দেয় প্রবল ওই ঢেউয়ের শক্তি। বালু টেনে সাগরের দিকে নিয়ে যায় ঢেউ; জমা করে উপকূলীয় অগভীর সাগরতলে। এতে সৈকত দুই দিকে সমতল হয়ে যায় এবং সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়ে। সৈকত থেকে অনেক দূরে বালুর ডুবোচরে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ঢেউয়ের শক্তি কমে যায়।
ঝোড়ো হাওয়ার বর্ষাকাল যখন চলে যায়, তখন ছোট ছোট ঢেউ সৈকতের দিকে নিয়ে আসতে থাকে বালু। জোয়ার-ভাটার মাঝখানে সেই তীরে আসা বালু সৈকতের ওপরে ডেইলের দিকে নিয়ে আসে বাতাস। কিন্তু সেই বালু আটকে উঁচু উঁচু ডেইলে পরিণত হবে তখনই, যখন ডেইল ও উপকূলীয় জমিতে থাকবে গভীর শিকড়ের স্থানীয় জাতের লতাপাতা-ঝোপঝাড়-গাছগাছালি, যখন সৈকত ও ডেইলে অন্য কোনো পাকা বা আধাপাকা প্রতিবন্ধক থাকবে না।
খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি বন বিভাগ স্বীকার করেছে, ডেইল ও সৈকতে আগ্রাসী ও ক্ষতিকর বিদেশি প্রজাতির গাছের বাগান (অস্ট্রেলিয়ান পাইন বা ঝাউগাছ) করা খুব ভুল হয়েছে। এ কারণে ভাঙন বেড়েছে। ঝাউগাছ এত দ্রুত বাড়ে যে, দেশি উদ্ভিদ পাল্লা দিয়ে পারে না। দ্রুত বর্ধনশীল ও দীর্ঘ ছায়ার ঝাউগাছের পাতার জৈব রাসায়নিক প্রভাবও স্থানীয় প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সব মিলিয়ে ফলাফল হলো, ঝাউ বাগানের নিচে বা আশপাশে দেশি জাতের গাছগাছালি হয় না। জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থা থেকে শুরু করে নানা নির্ভরযোগ্য সংস্থার গবেষণায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে।
যদি বালুভূমিতেও ঝাউগাছ লাগানো হয়, তবে কয়েক বছরের মধ্যে সব বালু ক্ষয় হয়ে যায়। বালুভূমি পরিণত হয় পুষ্টিহীন ও বিরান মাটিতে। ঝাউগাছের শিকড় মাটির খুব গভীরে যায় না। ফলে ঝাউ উপদ্রুত বিরান ভূমির পুষ্টিহীন জমি খুব সামান্য বাতাস ও ঢেউয়ে ক্ষয় হয়, ভেঙে যায়। ঝাউয়ের কারণে ডেইল ধ্বংস হওয়ার পরে যখন সৈকতে ভাঙন বাড়ে, তখন আবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ওইসব জায়গায় ভাঙন ঠেকানোর চিন্তা করে জিও-টিউব বসায়। তাতে ভাঙন আরও বাড়ে। দুটো কারণ। প্রথমত, টিউবে ভরার জন্য বালু তোলা হয় সৈকত থেকে, তাতে জোয়ার ও ঢেউয়ের বিপরীতে আরও অরক্ষিত হয়ে পড়ে সৈকত। দ্বিতীয়ত, সৈকতের শেষ প্রান্তে বা ক্ষয়ে যাওয়া ডেইলের ওপর জিও-টিউব বসানোর কারণে শুকনো মৌসুমে ওইখানে আর ডেইলে প্রাকৃতিকভাবে বালু জমা হতে পারে না; গাছগাছালি-ঝোপঝাড়-লতাপাতাও হয় না। ঝাউগাছ ও জিও-টিউবের দুষ্টচক্রের কারণে সৈকত চক্রবৃদ্ধি হারে ভাঙছে প্রতি বছর।
বর্তমান দুরবস্থা থেকে উত্তরণ চাইলে আরও বেশি পাকাকরণের দিকে না গিয়ে বরং এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী স্থায়ী সমাধান ডেইল অক্ষুণ্ণ রাখার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বিলুপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত ডেইল পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপ হলো- বন বিভাগকে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে ঝাউ উপদ্রব ঠেকাতে হবে। ঝাউয়ের নবীন বাগান উপড়ে ফেলে সেখানে স্থানীয় জাতের উদ্ভিদ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যায়ক্রমে ঝাউয়ের পুরোনো বাগানগুলোতেও একই কাজ করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবশ্যই কংক্রিটের বাঁধ ও জিও-টিউবের বিকল্প হিসেবে ডেইল পুনরুদ্ধার ও ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে লোকসমাজ, জেলে সমিতি, কৃষক সমিতি, পর্যটন ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
মোহাম্মদ আরজু : 'ইনডিজেনাস অ্যান্ড লোকাল কম্যুনিটি কনসার্ভড এরিয়া কনসোর্টিয়াম'-এর আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সমন্বয়ক
দেখা যাচ্ছে, যেখানে সৈকত বালুবঞ্চিত হয়েছে, সেখানেই ভাঙন বেশি। দালানবাড়ি, পাকা রাস্তা বা অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার চিন্তা থেকে কংক্রিটের দেয়াল কিংবা ব্লক বা টেট্রাপড বা জিও-টিউব বসানো হয়েছে। সাগরপাড় পাকা করায় কিছু জায়গায় উপকূলীয় জমি ও এসব স্থাপনা অন্তত কিছুকালের জন্য ভাঙন থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু এতে ভাঙনের চাপ পুরোটা পড়ছে সৈকতের ওপর। ফলে সাগর আর পাকার মাঝখানে বালুময় সৈকত থাকছে না শেষ পর্যন্ত।
সাগরপাড়ে বহুকাল ধরে সৈকতের ভাঙা-গড়ার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ছিল। কারণ সৈকতের স্বাস্থ্য ভালো ছিল। উপকূলীয় জমি আর সৈকতের মাঝখানে ছিল উঁচু উঁচু ডেইল। এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পানির বাড়তি জোয়ার ও ঘন ঘন ঝোড়ো হাওয়ার পরও ডেইল-সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে কিছুই ভাঙছে না; না সৈকত, না উপকূলীয় জমি। যদি প্রচুর বালু থাকে সৈকতে, তবেই সৈকতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সৈকতে প্রাকৃতিকভাবে বালু সরবরাহে যদি বাধা দেওয়া হয়, তবে সৈকত ভাঙবেই। সৈকতে বালুর আসা-যাওয়ার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় বাধা না দিয়ে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা করলে সৈকতে কখনও বালুর অভাব হওয়ার কথা নয়।
সৈকতে বালু আসে দুটো উৎস- স্থলভাগ ও সাগর থেকে। সাগরের স্রোতে বালু এসে উপকূলে জমা হয়ে সৈকত তৈরি হয়। এতে সৈকত চওড়া ও উঁচু হয়। সাগরসৈকতের অন্য পাশে উপকূলীয় জমির দিকে তৈরি হয় বালুর ঢিবি- ডেইল, যেখান থেকে আবার বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে বালু সরবরাহ হয় সৈকতজুড়ে। যখন ঝোড়ো আবহাওয়া হয় তখন উঁচু ও শক্তিশালী ঢেউয়ের প্রভাবে সৈকতে নানা অদল-বদল হয়; সৈকতের আকার-আকৃতির বদল হয়। সৈকত ও ডেইলের বালু সামাল দেয় প্রবল ওই ঢেউয়ের শক্তি। বালু টেনে সাগরের দিকে নিয়ে যায় ঢেউ; জমা করে উপকূলীয় অগভীর সাগরতলে। এতে সৈকত দুই দিকে সমতল হয়ে যায় এবং সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়ে। সৈকত থেকে অনেক দূরে বালুর ডুবোচরে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ঢেউয়ের শক্তি কমে যায়।
ঝোড়ো হাওয়ার বর্ষাকাল যখন চলে যায়, তখন ছোট ছোট ঢেউ সৈকতের দিকে নিয়ে আসতে থাকে বালু। জোয়ার-ভাটার মাঝখানে সেই তীরে আসা বালু সৈকতের ওপরে ডেইলের দিকে নিয়ে আসে বাতাস। কিন্তু সেই বালু আটকে উঁচু উঁচু ডেইলে পরিণত হবে তখনই, যখন ডেইল ও উপকূলীয় জমিতে থাকবে গভীর শিকড়ের স্থানীয় জাতের লতাপাতা-ঝোপঝাড়-গাছগাছালি, যখন সৈকত ও ডেইলে অন্য কোনো পাকা বা আধাপাকা প্রতিবন্ধক থাকবে না।
খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি বন বিভাগ স্বীকার করেছে, ডেইল ও সৈকতে আগ্রাসী ও ক্ষতিকর বিদেশি প্রজাতির গাছের বাগান (অস্ট্রেলিয়ান পাইন বা ঝাউগাছ) করা খুব ভুল হয়েছে। এ কারণে ভাঙন বেড়েছে। ঝাউগাছ এত দ্রুত বাড়ে যে, দেশি উদ্ভিদ পাল্লা দিয়ে পারে না। দ্রুত বর্ধনশীল ও দীর্ঘ ছায়ার ঝাউগাছের পাতার জৈব রাসায়নিক প্রভাবও স্থানীয় প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সব মিলিয়ে ফলাফল হলো, ঝাউ বাগানের নিচে বা আশপাশে দেশি জাতের গাছগাছালি হয় না। জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থা থেকে শুরু করে নানা নির্ভরযোগ্য সংস্থার গবেষণায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে।
যদি বালুভূমিতেও ঝাউগাছ লাগানো হয়, তবে কয়েক বছরের মধ্যে সব বালু ক্ষয় হয়ে যায়। বালুভূমি পরিণত হয় পুষ্টিহীন ও বিরান মাটিতে। ঝাউগাছের শিকড় মাটির খুব গভীরে যায় না। ফলে ঝাউ উপদ্রুত বিরান ভূমির পুষ্টিহীন জমি খুব সামান্য বাতাস ও ঢেউয়ে ক্ষয় হয়, ভেঙে যায়। ঝাউয়ের কারণে ডেইল ধ্বংস হওয়ার পরে যখন সৈকতে ভাঙন বাড়ে, তখন আবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ওইসব জায়গায় ভাঙন ঠেকানোর চিন্তা করে জিও-টিউব বসায়। তাতে ভাঙন আরও বাড়ে। দুটো কারণ। প্রথমত, টিউবে ভরার জন্য বালু তোলা হয় সৈকত থেকে, তাতে জোয়ার ও ঢেউয়ের বিপরীতে আরও অরক্ষিত হয়ে পড়ে সৈকত। দ্বিতীয়ত, সৈকতের শেষ প্রান্তে বা ক্ষয়ে যাওয়া ডেইলের ওপর জিও-টিউব বসানোর কারণে শুকনো মৌসুমে ওইখানে আর ডেইলে প্রাকৃতিকভাবে বালু জমা হতে পারে না; গাছগাছালি-ঝোপঝাড়-লতাপাতাও হয় না। ঝাউগাছ ও জিও-টিউবের দুষ্টচক্রের কারণে সৈকত চক্রবৃদ্ধি হারে ভাঙছে প্রতি বছর।
বর্তমান দুরবস্থা থেকে উত্তরণ চাইলে আরও বেশি পাকাকরণের দিকে না গিয়ে বরং এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী স্থায়ী সমাধান ডেইল অক্ষুণ্ণ রাখার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বিলুপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত ডেইল পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপ হলো- বন বিভাগকে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে ঝাউ উপদ্রব ঠেকাতে হবে। ঝাউয়ের নবীন বাগান উপড়ে ফেলে সেখানে স্থানীয় জাতের উদ্ভিদ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যায়ক্রমে ঝাউয়ের পুরোনো বাগানগুলোতেও একই কাজ করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবশ্যই কংক্রিটের বাঁধ ও জিও-টিউবের বিকল্প হিসেবে ডেইল পুনরুদ্ধার ও ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে লোকসমাজ, জেলে সমিতি, কৃষক সমিতি, পর্যটন ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
মোহাম্মদ আরজু : 'ইনডিজেনাস অ্যান্ড লোকাল কম্যুনিটি কনসার্ভড এরিয়া কনসোর্টিয়াম'-এর আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সমন্বয়ক
- বিষয় :
- প্রতিবেশ
- মোহাম্মদ আরজু