অনিরাপদ সেপটিক ট্যাঙ্ক

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও সাংবাদিক ইলিয়াস
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩ | ১৮:০০
চলতি বৎসরের প্রথম ৫ মাসে ১৮টি সেপটিক ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু ঘটিয়াছে বলিয়া জানাইয়াছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। মৃত্যু ও দুর্ঘটনার সংখ্যাটি যে আরও বড়, তাহা ২৪ জুন সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্পষ্ট। দুর্ঘটনার সকল তথ্য যেমন ফায়ার সার্ভিসের নিকট নাই, তেমনি সকল খবর সংবাদমাধ্যমেও আসিতেছে না। সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখ উন্মুক্ত রাখা যাইবে না। কারণ উন্মুক্ত ট্যাঙ্কে পড়িয়া শিশু, এমনকি বয়স্কদেরও মৃত্যুর আশঙ্কা রহিয়াছে।
সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা ও গ্যাস ডিটেক্টর ব্যতীত কাহারো সেপটিক ট্যাঙ্কে নামা উচিত হইবে না। পেশাদার লোকের পরিবর্তে শ্রমিক দিয়া সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরিণতি মর্মান্তিকই হইতেছে। সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারকরণে পেশাদারি ও বৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন না করিলে মৃত্যুর মিছিল থামিবে না।
যেই সকল বাড়ির মালিকের অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, তাহাদের আইনের বেষ্টনীতে আনিতে হইবে। মালিকেরও উচিত হইবে নিজ বাড়ি সুরক্ষিত রাখিবার স্বার্থে দক্ষ লোক দিয়া নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা। ফায়ার সার্ভিস হইতে সরেজমিন তদারকি জোরদার করা যাইতে পারে। যেই সকল বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক ত্রুটিপূর্ণ শনাক্ত হইবে, তাহাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা লইলে অন্যরা সতর্ক হইবে।
সরকারের অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করিয়া ফায়ার সার্ভিস অভিযান পরিচালনা করিতে পারে। এই ক্ষেত্রে জনবল সংকট ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যেন বাধা হইয়া না দাঁড়ায়, তাহা নিশ্চিত করিতে হইবে। এরই মধ্যে সেপটিক ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় যেই সকল শ্রমিক মৃত্যুবরণ করিয়াছে, তাহাদের পরিবারে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পৌঁছাইবার ব্যবস্থা করিতে হইবে। অন্যথায় পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অকালমৃত্যুতে নির্ভরশীল সদস্যরা বিড়ম্বনায় পড়িবেন।
- বিষয় :
- সেপটিক ট্যাঙ্ক
- সম্পাদকীয়