হাল ছেড়ো না

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গান গাইছেন কবীর সুমন, ছবি ::সাজ্জাদ নয়ন
মুন্নী সাহা
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২ | ০৫:২২
এই তো শেষ লোকসভা নির্বাচনের কথা। পুরো ভারতের এ মাথা-ও মাথা ঘুরে ঘুরে নির্বাচনের খবর দিচ্ছি এটিএন নিউজের দর্শকদের। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সেলিব্রেটি প্রার্থীর জনসভা থেকে সরাসরি বিশেষ সাক্ষাৎকার থাকছে। কলকাতায় যেই পা দিয়েছি, অমনিই ঢাকার নিউজরুম থেকে বায়না- অফ বিট কিছু চাই। প্রতিদিনের মিছিল-মিটিং; মমতা, মোদি, রাহুল, অনুব্রত- নানা ক্যারিকেচারের খবর পাঠিয়েও নিউজরুমের মন পাচ্ছিলাম না। একজন বুদ্ধি দিল- দিদি, তুমি একটু কবীর সুমনকে ট্রাই করো। বাংলাদেশের কথা শুনলে নিশ্চয়ই তোমাকে দু'চার মিনিট দেখা করার সুযোগ দেবেন। বুদ্ধিটা পছন্দ হলো। বোরিং পলিটিকসের মধ্যে যেন সুমনের গানের মতোই 'এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দিলে, সহজ চোখে তাকিয়ে থাকা'র ফিল পেলাম। সেই মুহূর্ত থেকে পেছনের শত কোটি মুহূর্তান্তে নিয়ে গেল একটা নাম- 'সুমন'!
'৯৩-এর ভোরের কাগজ অফিস। দেশ-বিদেশের রেডিওর খবর থেকে ট্রান্সক্রিপ্ট করা একটা রেগুলার কলাম রেডি করার জন্য ফিচার বিভাগের সঞ্জীব চৌধুরীর একখান টেপ রেকর্ডার। কোনার দিকে টেবিলের ওপর রাখা। সন্ধ্যার পর মাথার ওপর অ্যান্টেনাটা খাড়া করে সঞ্জীব চৌধুরীর জন্য খবর বলে দেওয়ার সার্ভিসের আগে মাঝ দুপুরে সবার জন্য সার্ভিস দিচ্ছে। মোটামুটি বড় আওয়াজে 'তোমাকে চাই...এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই, ডাইনে ও বাঁয়ে আমি তোমাকে চাই...'। এমন হাজারো অনুষঙ্গ বা অনুভবে 'তোমাকে' চাইছে যে, তাঁকে আমরা খুঁজতে থাকলাম ক্যাসেট প্লেয়ারের ফিতা রিওয়াইন্ড ফরোয়ার্ড করে, ক্যাসেটের গায়ে তন্ন তন্ন করে। ক্যাসেট প্লেয়ারের পার্সোনালিটি যেন বেড়ে গেল।
ক্যাসেটের গায়ে সঞ্জীবদার গোল গোল অক্ষরে লেখা- তোমাকে চাই, সুমন। একটি পত্রিকা অফিসে ভরদুপুরে শাসালো গলায় 'তোমাকে চাই'...'তোমাকে চাই' চলতেই থাকে। কারণ ক্যাসেটের দুই পিঠেই উপর্যুপরি 'তোমাকে চাই' রেকর্ড করা। ভারিক্কি টাইপের দু-একজন এসে গান বন্ধের কথা বলার সাহস পায় না; বরং গানটা বেশ ভালো লাগছে তেমন ভঙিতে সঞ্জীবদার কাছে প্রশ্ন করে- সুমনটা কে? পশ্চিম বাংলার নাকি আমাদের দেশের? ছবিটবি নেই? দেখি না চেহারাটা কেমন...। সঞ্জীবদা বীরের ভঙিতে বলেন, 'হব্বায় [মাত্রই] বাইর হইছে কলকাতায়। ক্যাসেটের গায়ে ভদ্রলোকের ছবি ছিল... আমার কাছে উইড়া উইড়া আইছে তো ক্যাসেটটা... ছবিটা ঝাপসা হইয়া গেছে, কিন্তু গান ঠিক আছে। আছে না? কী বলেন?' এই বলে আমাদের সাক্ষী মানেন। আমরা মাথা নাড়াই।
একদিন হলো কি, ভোরের কাগজের অফিস সহকারী আফসার সাহেব মাগরিবের আজানের সময় এসে দুড়ূম করে প্লেয়ারটি আছাড় মারলেন। গান বন্ধ হলো। সব হতভম্ব। প্লেয়ারের মালিক রেগে আগুন হবেন- এটাই প্রত্যাশিত। সুমনের গলা বন্ধ হয়েছে তাতে কী? সুরের ভাঁজে ভাঁজে দু-একটা কথা বসিয়ে দিয়ে সঞ্জীব চৌধুরী গলা ছাড়লেন- 'ও আফছার ভাই, ভীষণ অসম্ভবে তোমাকে চাই...এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই! ফিসফিস করে আফসার সাহেবকে কী জানি বোঝালেন। শুধু শোনা গেল, এই 'তোমাকেটা কেডা? আসমানের দিকে চাইয়া জিগান, আমার দিকে চাইয়াও জিগাইতে পারেন!' প্রশ্রয়ের হাসি হেসে আফসার ভাই চা আনতে চলে গেলেন। 'পুরো পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার জন্য সব কথাই গানে আছে, বুঝলেন মুন্নী! শালায় জিনিয়াস একটা। ডয়েচে ভেলেতে কাজ করে। জার্নালিস্ট। বুঝলেন কিছু? গিটার বাজায়, হারমোনিকা, পিয়ানো, বেহালা সবই বাজায়। গলা শুনছেন?' আমাদের সঞ্জীবদাও আমাদের কাছে মাল্টি ট্যালেন্টেড একজন। দারুণ গলা। বাজনা তেমন পারেন না, টেবিল টোক্কানো ছাড়া। তবে দেশ-বিদেশের তাবৎ খবর রাখেন, গানের তো রাখেনই। তাঁর কাছে সুমন চট্টোপাধ্যায় [সে সময় কবীর হননি] সম্পর্কে শুনছিলাম আমরা আগ্রহভরে। তখন তো গুগল ছিল না; ইউটিউব-ওয়েবসাইট নেই, ফলে আমরা বোকারা প্রশ্ন করেছি- কেমনে জানলেন? সঞ্জীবদা ক্যাসেটের চোকলার ফটোকপি বের করলেন। কাড়াকাড়ি লেগে গেল। কে আগে দেখব? সেই সাদাকালো ফটোকপির চোকলাটায় চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে ভেসে উঠল গানের লাইনগুলো- তোমাকে চাই, এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দিলে, আগুন দেখেছি আমি কত জানলায়, পাগল..., বন্ধু কী খবর বল- একে একে সব গান 'চেনা দুঃখ চেনা সুখ' হয়ে কানের মনে যেন বাজতে লাগল। তার পরে সুমনের যে ক'টা ক্যাসেট বা অ্যালবাম বেরিয়েছে, আমরা ধারাবাহিকভাবেই কিনতে থাকি।মনে পড়তে থাকল প্রতি সন্ধ্যায় সুমনকে নিয়ে আড্ডায় বাড়াবাড়ি সব ঘটনা।
সম্ভবত '৯৬-তে সুমন বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন। শেরাটনের উইন্টার গার্ডেনে অনুষ্ঠান কাভার করার অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে কী যে খুশি হয়েছিলাম। সে খুশির অনুভবটা যে কোনো সময় শুধু সুমন চট্টোপাধ্যায় বা কবীর সুমন নামটা উচ্চারণ করলেই আমি ফেরত আনতে পারি। এ আমার এক্কেবারে নিজস্ব 'সুমনপনা'! সেবার সাবিনা ইয়াসমিন শ্রোতার সারিতে বসে সুমনের গান শুনছিলেন। সুমন কেমন করে, কী বলে তাঁকে মঞ্চে ডাকলেন; তাঁকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করে শ্রদ্ধা জানাতে চাওয়ার ইচ্ছা পূরণের আকুতির উচ্চারণগুলোও হুবহু মনে পড়ে। সেই আমাকেই যখন ২০১৯-এ নির্বাচনের খবরের পাশাপাশি অফ বিট স্টোরি হিসেবে কবীর সুমনকে নিয়ে ছুটতে বলা হয়, তখন মেমোরি বক্সে বন্দি রাখা ফড়ফড় প্রজাপতিগুলো অস্থিরতায় ভোগে। আমাকেও অস্থির করে তোলে।
সুমন কতবার বিয়ে করলেন, কতবার রাজনীতি করলেন, কতবার দল বদলালেন, কাকে কাকে খিস্তি করলেন- এগুলো আমার কাছে টেলিভিশন, অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া কিছুদিন গরম রাখার দু-একটি লাইন মাত্র। কৈশোর পেরোনো উত্তাল যৌবনের পুরোটা তো সুমনের গান। গানওয়ালা, জাতিস্মর, বসে আঁকো, ইচ্ছে হলো, ঘুমাও বাউণ্ডুলে, চাইছি তোমার বন্ধুতা, নিষিদ্ধ ইস্তেহার, পাগলা সানাই, যাব অচেনায়, নাগরিক কবিয়াল, আদাব- যখন যেটা এসেছে সংগ্রহ করেছি, শুনে নিয়েছি, তর্কে জড়িয়েছি। রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবামটিও আমার খুব প্রিয়। কানজুড়ানো। এক ধরনের কৃতজ্ঞতার ফুলেই সুমনকে আমার গান শোনার কানে পুজো দিই। বাংলা আধুনিক গান শোনাতে শোনাতে এই বাউণ্ডুলেটা আমাদের মধ্যবিত্তের মগজে বিশ্বসংগীত ঢুকিয়েছেন। হঠাৎ হঠাৎ চিৎকার করে 'হাল ছেড়ো না বন্ধু' বলার মজাটা বুঝিয়েছেন। সেই মানুষটিকে তাঁর তৃণমূল, তাঁর মমতাদি, তাঁর নন্দীগ্রামের কন্ট্রোভার্সির প্রেক্ষাপট ভেঙে লোকসভা নির্বাচনে 'আপনার অনুভূতি কী...' জানতে চাইব- মনটা সায় দিচ্ছিল না। এদিকে আরেক দিককার মনটা ডেকে বলে- তুই যা, কাছে থেকে দেখে আয় গানের জীবন্ত ডিকশনারিকে। হ্যাঁ, সত্যিই আরেকটিবার কাছ থেকে দেখার লোভটা ছিলই। কীভাবে যাব কবীর সুমনের বাড়ি? কলকাতায় আমাদের কোনো প্রতিনিধি নেই যে বলব, নিয়ে যাও। সময় টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটা বারবার ইউটিউবে ভাসে। কী বিশ্রীভাবে বলছেন সুমন- 'আমি কক্ষনোই বাংলাদেশে যাব না...বাংলাদেশকে ঘৃণা করি!' যতবার ইন্টারভিউটা দেখি ততবার টপটপ করে চোখ বেয়ে জল পড়ে। সেই যৌবনের সুমন ক্রেজের সঙ্গে এই সুমনকে বসিয়ে নৃশংসভাবে কবীর সুমনকে হারিয়ে দিতে হয়। আমাদের বন্ধু, দেশের সেরা গাইনোকোলজিস্ট ডা. জাকিউর রহমানের শরণাপন্ন হই, কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে বসেই। জাকিউর ভাই ফোনেই ফোন নম্বর দিলেন। ঠিকানাও। কিছুক্ষণ আমাকে কাউন্সেলিংও করলেন, 'আরে ধুর! আপনে সুমনদার ওই ইন্টারভিউ দেইখা কাইন্দেন না তো। শালায় এম্মেই পাগলা, তারপর হাবিজাবি কথা বইলা ওরে বিগড়াইয়া দেয়, মুখের সামনে ডান্ডা [মাইক্রোফোন] ধইরা দাদা কিছু বলেন মার্কা কথা জিগাইলে তো চেতবই! এর আগে-পরের ঘটনা কী হইছিল খোঁজ নেন, দেখেন- সুমনদারে দোষ দিতে পারবেন না। আর আপনে ফোন কইরা ইন্টারভিউর কথা কইয়েন না, কইয়েন বাংলাদেশের মিডিয়াতে কাজ করি আমি। জাকিউর রহমান ফোন নম্বরটা দিসে, একটু দেখা করতে চাই- এটুকুই বইলেন। আপনার লাক ভালো থাকলে ক্যামেরার সামনেও কথা বলতে রাজি হইতে পারে!' ডাক্তার বন্ধুর প্রেসক্রিপশন মতো প্রতিটি বাক্য-শব্দ সাবধানে বললাম, ফোনে। দেখা করা যাবে কিনা জানতে চাওয়া মাত্রই শান্ত স্নিগ্ধ কণ্ঠে যতটা বিষ ঢালা যায়, সে ভঙিতে ফোনের ও প্রান্তের সুমনটা বলে উঠলেন, 'দেখা করার জন্য এখন আর সময় রাখি না। আশা করি বুঝেছেন।' বলে ফোনটা রেখে দিলেন।
সাংবাদিকদের রাগ, ক্ষোভ, অভিমান, উচ্ছ্বাস থাকতে নেই। আমার মন খারাপ হলো বটে, কিন্তু চুপ করে থাকলাম। মনে মনে তো সুমনেরই গান গুনগুন করছি- মন খারাপ করা বিকেল মানেই মেঘ করেছে...। সেই মন খারাপের মেঘে বৃষ্টি হলো ১৫ অক্টোবর ২০২২। 'তোমাকে চাই'-এর ৩০ বছর পূর্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে। যেমন করে সুমন গলায় বিষ নিয়ে রূঢ় আচরণ করে ফোন রেখেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় টিকিট পাব না ধরেই নিয়েছিলাম। বন্ধু নবনীতার টেক্সট 'বেইমানি কইরেন না মুন্নী আপা- মাসুদা আপা, আমরা একসাথে সুমন শুনব। টিকিট কিনেছি।'
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সময়ের অনেক আগেই লম্বা লাইন। সবাই সবার কৈশোর-যৌবনের আয়নাটায় আরেকবার নিজেকে দেখবে বলে আকুল। আমরাও পাল্লা দিয়ে খলবলানিতে। লম্বা লাইনের ধৈর্য কুলাল না। অর্গানাইজার বন্ধুদের পক্ষপাতিত্বে আগেভাগেই হলে ঢুকে গেলাম। হঠাৎ মঞ্চে চেনা চেনা হাসি মুখ, চেনা আলো চেনা অন্ধকারে...। পরনে ধুতি, অলিভ রঙের ফতুয়া টাইপের শার্ট। হাসি মুখকে কয়েকজন ধরে ধরে বসালেন। সামনে কি-বোর্ড। মাথা নিচু করে কি-বোর্ডে আঙুল চালালেন। সাউন্ড চেক। আমরা ঠিক এই দৃশ্যটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আশ্বিনের ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচার জন্য আগেভাগে অডিটোরিয়ামে ঢুকেছি, তাই বলে আগেভাগে এভাবে একা একা গান শুনে ফেলব!হাসি মুখের কোনো বিকার নেই। সাহ্, সাহ্, সাহ্... হালকা হালকা স্টোক দিয়ে কি-বোর্ডে আওয়াজ তুললেন। তারপর পুরো দুটি লাইন, দরাজ গলায়- একেকটা দিন মসৃণ- ভোর থেকে শুরু করে রাতের শয্যায়- একেকটা দিন উঁচু-নিচু উ উ উ...।
আমাদের বিস্ময়ের 'হাঁ' বন্ধ হয় না। মোবাইলে ভিডিওটা অন করে হাঁ করে দেখতেই থাকলাম। পাশে নবনীতা বলছিল, 'এ কি! সুমন তো গান শুরু করে দিলেন! এখনও তো অডিটোরিয়ামে কেউ ঢোকেনি... ওনাকে দিয়ে সব হয় বাবা!' মঞ্চে কবীর সুমন গান করছেন, সাউন্ড ঠিকঠাক করছেন। আমার ক্যামেরা রোল। আর চোখের ওপারে দৃষ্টি পার হয়ে, মনটা স্মৃতির পথ ধরে সেই '৯৩-এর নিউজরুমের আওয়াজে চলে গেল। একদম হবহু আওয়াজ। ক্যাসেটের কাভারের ফটোকপির কালি ক্ষয়ে যাওয়ার পর তারুণ্যদীপ্ত সুমন চট্টোপাধ্যায়ের ছবিটা যেমন খাওয়া-খাওয়া দেখাচ্ছিল; ২০২২-এ ঢাকার মঞ্চে ৭৩ বছরের কবীর সুমনকে মাল্টি ডায়মেনশনে সে রকমই দেখাচ্ছে। কেউ ধরে না তুললে উঠতে-বসতে পারেন না। বয়স তাঁর চোখের রেখায় ত্রিকোণোমিতি এঁকে দিয়েছে। কিন্তু গলা, গায়কী, উপস্থাপন এবং কথায় কথায় নিজেকে নিয়ে ঠাট্টা করার মেজাজ- সব মিলে ৪৩ বছরের তেজি কমপ্লিট প্যাকেজ সুমনটা। টানা তিন ঘণ্টার পরিবেশনায় ১৫ মিনিট ব্রেক নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সুমনের হাত ধরে আমরা যারা আমাদের ছেলেবেলার ছবি দেখছিলাম, আমাদের কোনো ব্রেক ছিল না। অনন্ত সুমন যাত্রায়, গানে বিভোর হয়ে সেই খ্যাচখ্যাচানির স্মৃতি বা বাংলাদেশে আর আসবেন না বলে তীব্র ঘৃণার উচ্চারণটা মাঝে মাঝে মিলিয়ে দেখতে চাইছিলাম। সুমন সুফিয়া কামাল গাইছেন; এ যদি আমার দেশ না হয়, তবে কার দেশ বলো গাইছেন...। এক ফাঁকে বললেন- আমি আর একবার আসতে চাই, এই বাংলায়। বাংলাদেশে গান শোনাতে।নিজের অসুস্থতার করুণ অবস্থার কথার ফাঁকে সুমনের দীর্ঘশ্বাস- আমি কি এত ভাগ্য নিয়ে জন্মেছি যে বাংলাদেশে আমার মরণ হবে!
- বিষয় :
- কবীর সুমন