৩০ বছর হয় জাফর ইকবাল নেই

প্রয়াত নায়ক জাফর ইকবাল
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৯:৩৯ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ০১:৫৩
ত্রিশ বছর হয় নেই জাফর ইকবাল। অথচ কাজে এখনও কতটা জীবন্ত তিনি, কতটা আস্টেপৃষ্টে আছেন বাংলা চলচ্চিত্রের চির সবুজ নায়ক হয়ে। ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। চার চিরবিদায়ের তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এ দেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষের কাছে আজও স্মরণীয়, শ্রদ্ধেয় তিনি।
বাংলা চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ নায়কদের মধ্যে অন্যতম জাফর ইকবাল। তবে যতটা না স্টাইলিশ ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন তিনি অভিমানী ও আবেগপ্রবণ। বোহেমিয়ানও ছিলেন তিনি। শহুরে রোমান্টিক ও রাগী তরুণের ভূমিকায় দারুণ মানালেও সব ধরনের চরিত্রে ছিল তার সহজ বিচরণ। অভিনয়ের পাশাপাশি বাস্তব জীবনে চমৎকার গান গাইতে পারা এ অভিনেতা বেশকিছু ছবিতে গায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে জন্মেছিলেন জাফর ইকবাল। বাড়িতে গান-বাজনার রেওয়াজ ছিল। তার বোন শাহানাজ রহমতুল্লাহ একজন সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী। বড় ভাই আনোয়ার পারভেজও নামকরা সংগীতজ্ঞ। তিনি ছিলেন সংগীত পরিচালক। ভাই ও বোনের মতো জাফর ইকবালও প্রথমে গানের ভুবনেই যাত্রা করেছিলেন গায়ক হিসেবে।
জাফর ইকবার নায়ক হিসেবে পরিচিতি পেলেও একজন সঙ্গীত শিল্পীই ছিলেন। বাড়িতে গানবাজনার রেওয়াজ ছিল বলেই তার সঙ্গীতশিল্পী হয়ে উঠা। তার বোন শাহানাজ রহমতুল্লাহ একজন সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী। বড় ভাই আনোয়ার পারভেজও নামকরা শিল্পী। জাফর ইকবাল প্রথমে গায়ক হিসেবেই পরিচিতি পান। ছিল নিজের ব্যান্ডদল। যে ব্যান্ডদল ১৯৬৬ সালে গড়ে তুলেছিলেন।
সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন জাফর ইকবাল। বন্ধুর চলে যাওয়ার এ দিনে স্মৃতিচারণ করে করে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ জাফর ইকবাল বয়সে আমার বড় হলেও বন্ধুর মতো। একজন ফ্যাশন আইকন ছিলেন তিনি। তার ফ্যাশন আমরা অনুসরণ করতাম সেই সময়ে। রুচিবোধ থেকে শুরু করে তার ব্যক্তিত্ব ছিল নজরকাড়া। প্রেমিক নামের একটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন জাফর ভাই। সেখানে আমাকে অভিনয় করতে বলেছিলেন। সারারাত ধরে তার ধানমন্ডির বাসায় বুঝিয়েছিলেন অভিনয় করার বিষয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত অভিনয় করা হয়নি। মেয়েরা তাকে অনেক পছন্দ করতো। খুব সচেতন হয়ে ড্রেসআপ করতেন। তার লিপে আমার কণ্ঠের অসংখ্য গান ব্যবহার হয়েছে।’
নায়ক হিসেবে জাফর ইকবলের সিনেমায় অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে। প্রথম সিনেমাটিতে তার নায়িকা ছিলেন কবরী। সিনেমার নাম ‘আপন পর’। ছবিটি খান আতাউর রহমান পরিচালনা করেছিলেন। ছবিটির ‘যা রে যাবি যদি যা’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
জাফর ইকবাল সর্বমোট ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জাফর ইকবাল। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো- অবুঝ হৃদয়, ভাই বন্ধু, অবদান, প্রেমিক, সাধারণ মেয়ে, ফকির মজনু শাহ, দিনের পর দিন, বেদ্বীন, অংশীদার, মেঘ বিজলী বাদল, নয়নের আলো, সাত রাজার ধন, আশীর্বাদ, অপমান, এক মুঠো ভাত, গৃহলক্ষ্মী, ওগো বিদেশিনী, প্রেমিক, নবাব, প্রতিরোধ, ফুলের মালা, সিআইডি, মর্যাদা, সন্ধি, বন্ধু আমার, উসিলা ইত্যাদি।
- বিষয় :
- জাফর ইকবাল
- চিত্রনায়ক
- ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী