সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে ৮ দিনে আরণ্যকের ৯ নাটক

'থিয়েটারের নতুন বার্তা বিধস্ত পৃথিবীর জন্য' স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে আরণ্যক নাট্যদল। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে ৮ দিনের নাট্যোৎসব। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে  বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎসব কমিটির আহবায়ক হারুন রশিদ।

এসময় আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক নাট্যবক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, নির্দেশক ও ডিজাইনার ফয়েজ জহির, আলোক নির্দেশক ঠান্ডু রায়হান,অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী, তমালিকা কর্মকার, অভিনেতা জয়রাজ,আমিন আজাদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুরুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির হল ও প্রাঙ্গনে এ উৎসব চলবে। এই আট দিনে আরণ্যকের নতুন ও পুরনো ৯টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। রয়েছে বহিরাঙ্গনের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান। সঙ্গে সেমিনার, যন্ত্রসংগীত, প্রকাশনা উৎসবসহ নানা আয়োজন সাজিয়েছে দলটি। শিল্পকলা একাডেমির মুল মিলনায়তনে শুক্রবার বিকালে উৎসব উদ্বোধন করবেন চাকমা পালা গানের শিল্পী দ্বীনো কুমার চাঙমা।

নাট্যোৎসবে নিয়মিত চারটি নাট্য প্রযোজনার পাশাপাশি নবরূপে মঞ্চে ফিরছে পুরনো পাঁচটি নাট্য প্রযোজনা। নাটকগুলো হল 'নানকার পালা', 'ওরা কদম আলী', 'ইবলিশ', 'সংক্রান্তি', 'ময়ূর সিংহাসন', 'রাজনেত্র', 'কবর', 'রাঢ়াঙ', 'কহে ফেসবুক'। আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, " আরণ্যক নাট্যদলের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর একটি বড় ঘটনা। এটা উদযাপন করতেই এই উৎসবের আয়োজন। কখনো ভাবিনি আরণ্যক নাট্যদলের সুবর্ণজয়ন্তী দেখে যেতে পারব। সেই বিরল সুযোগ আমার জীবনে ঘটেছে। আমি আনন্দিত। বেশ কয়েকটি পুরাতন নাটকও উৎসবে নতুন করে মঞ্চস্থ হবে। এবারের উৎসবে কোন বিদেশী নাটক নেই। নাটকগুলোতে নতুন বার্তা থাকবে। আশা করছি,উৎসবে বেশ সাড়া পাবো।'

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে নাট্যচর্চায় যাত্রা শুরু করে আরণ্যক নাট্যদল। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ মুনীর চৌধুরীর 'কবর' নাটকটি দিয়ে প্রথম মঞ্চে আসে তারা। 'নাটক শুধু বিনোদন নয়, শ্রেণি সংগ্রামের সুতীক্ষ্‌ণ হাতিয়ার' স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে দলটির বেশ ভূমিকা ছিল। মঞ্চ নাটক, পথ নাটক ও মুক্ত নাটক করে নাট্যচর্চাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ দলটি।