শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে যে ছবিগুলো সেরা হলো

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:৩২ | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:৪৩
চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার বিকাল ৫টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এবার দুটি প্রতিযোগিতা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে পাঁচটি চলচ্চিত্র।
শিশু নির্মাতাদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে অমিত্রাক্ষর বিশ্বাস নির্মিত চলচ্চিত্র ‘লালাবাই’, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে মোহাম্মদ নিয়াজ হাসানের ছবি ‘অর্ডার’, তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে ইরতিজা আলম জয়িতা ও আমিনুল ইসলাম নিলয়ের ‘ইউফোরিক প্যারানয়া’।
বাংলাদেশি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন যথাক্রমে মুসতাক মুজাহিদ [প্রথাসিদ্ধ], নভেরা হাসান নিক্কন [আগুয়ান সান বিহাইন্ড দ্য হরাইজন]। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুদে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, খেলাধুলায় শিশুরা এগিয়ে গেলেও সংস্কৃতি ও শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারছে না, এটা খুবই দুঃখজনক। শিশুদের সংস্কৃতি বিকাশের স্বার্থে চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে যুক্ত হতে ইচ্ছে পোষণ করছি।
আরও বক্তব্য দেন চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোরশেদুল ইসলাম, সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, উপদেষ্টা ড. ইয়াসমিন হক, অনুষ্ঠান সম্পাদক রায়ীদ মোরশেদ, উৎসব কর্মকর্তা ম্ঈুদ হাসান তড়িৎ ও উৎসব পরিচালক শাহরিয়ার আল মামুন।
এবারও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে ছিল বাংলাদেশী শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এই বিভাগে এবার ১৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে, ৩টি চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছে। বিশেষ চলচ্চিত্র বিভাগে ৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ ছিল বাংলাদেশী শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এই বিভাগে এবার ১৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে নির্বাচিত ৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বিশেষ চলচ্চিত্র বিভাগে ৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগে ৩৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল যার মধ্যে প্রদর্শিত হয়েছে ১৫টি চলচ্চিত্র। আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ২৭০০ এর বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়েছ, প্রদর্শিত হয়েছে ৭৫টি চলচ্চিত্র।
শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র বিচারকার্যে জুরি বোর্ডের সবাই ছিল শিশু-কিশোর। অর্থাৎ ছোটদের নির্মিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো বাছাই করেছে ছোটরাই। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগের চলচ্চিত্রগুলো বিচার করার জন্য জুরি বোর্ডে ছিলেন মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম, এস এম আমিনুল ইসলাম, সাজিব জামান। এছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, শামীম আকতার ও রাকা নওশিন নাওয়ারকে সদস্য করে ‘আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে’র চলচ্চিত্র বিচার করার জন্য একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
‘ফ্রেম ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে গত ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল তিন দিনব্যাপী শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন।