ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

অনিক বলেছিল জন্মদিনে চমকে দেবে, কিন্তু তা আর হলো না: ববিতা

অনিক বলেছিল জন্মদিনে চমকে দেবে, কিন্তু তা আর হলো না: ববিতা

ফরিদা আক্তার ববিতা। ছবি: সংগৃহীত

এমদাদুল হক মিল্টন

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪ | ১৬:১০ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ | ১৬:১৫

ফরিদা আক্তার ববিতা। নন্দিত অভিনেত্রী। রুচিশীল অভিনয় আর মিষ্টি হাসির এই তারকাকে বর্তমান প্রজন্মের অনেক অভিনেত্রী আদর্শ মনে করেন। আজ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। জন্মদিন উদযাপন এবং নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় এ অভিনেত্রীর সঙ্গে 

সমকাল:  সমকাল পরিবারের পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। 

ববিতা: ধন্যবাদ।

সমকাল: কীভাবে জন্মদিন উদযাপনের পরিকল্পনা করছেন? 

ববিতা: এবার কিছুই করিনি। ঢাকার গুলশানের নিজের বাসায়ই সময় কাটাব। বোনেরা বাসায় আসবেন। কয়েক বছর ধরে জন্মদিনে  সুবিধাবঞ্চিত অনেক শিশু আমার বাসায় আসত। গান শোনাত, আড্ডা দিতাম, খাবার খেতাম। এবার অত আয়োজন রাখিনি। নিজের শরীরটাও ভালো না। ছেলে কানাডায়, ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। অনিক বলেছিল, জন্মদিনে চমকে দেবে, কিন্তু হলো না। কানাডায় ছেলের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করার ইচ্ছা ছিল। কিছুদিন আগে দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল। এ কারণে আর কানাডা যাওয়া হয়নি। শরীরটা ভালো হলেই ছেলের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা যেন আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন– সবার কাছে এ দোয়াই চাইছি। 

সমকাল: এখন শারীরিক অবস্থা কেমন? 

করোনা পরীক্ষার পর ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এখন তো বাসায় আছি, ভালো আছি। তবে শরীর একটু দুর্বল। এ ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।

সমকাল: আবারও জন্মদিন প্রসঙ্গে আসতে চাই। এ বিশেষ দিনটি এলে কেমন লাগে?

ববিতা: জন্মদিন নিয়ে আমার কোনো এক্সাইটমেন্ট নেই। ছোটবেলা থেকে কখনোই ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন করিনি। আমার যে আয়ু আছে, সেটা থেকে একটা বছর কমে গেল। মনে হয়, জীবন একটাই, এখনও অনেক কিছু করার আছে। এই ক্ষুদ্র জীবনে কী করতে পারিনি এসব নিয়ে ভাবনা হয়। আমি মনে করি, জন্মদিন নিয়ে এত হইচই, আনন্দের কিছু নেই। 

সমকাল: আপনি না হয় জন্মদিন পালন খুব একটা পছন্দ করেন না। ভক্ত-সহকর্মী-পরিবারের সদস্যরা জন্মদিন নিয়ে আয়োজন করে থাকেন। সে রকম কোনো জন্মদিন আয়োজনের কথা কী মনে পড়ে?

ববিতা: অনেকেই নানাভাবে জন্মদিন উদযাপনের চেষ্টা করেন। নায়িকা হওয়ার পর একবার ঘটা করে জন্মদিন পালন হয়েছে। মনে পড়ে, পূর্বাণী হোটেলে বড় আকারে জন্মদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন আমরা গেন্ডারিয়ায় থাকতাম। আমার বড় বোন সুচন্দা, ছোট বোন চম্পা বলল, তোমার জন্মদিন বড় পরিসরে করব। আমাদের সিনেমার জগতের কিছু শিল্পীরা হাজির হয়েছিলেন সেখানে। খাওয়াদাওয়া, নাচ-গান সবই হলো। অনেকে অনেক ধরনের উপহার নিয়ে এসেছিলেন। উপহারের প্যাকেটগুলো খুলতে খুব মজা লেগেছিল। আমি ‘রাতের পর দিন’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। ওই সিনেমায় মজার একটি গান ছিল ‘কচি ডাবের পানি ... খেয়ে নাও। সেখানে আমার সঙ্গে পারফর্ম করেছিল অভিনেতা সাইফুদ্দিন। অনুষ্ঠানে একজন ভক্ত বিশাল এক বক্স নিয়ে এলেন। উপহারটি রঙিন কাগজ দিয়ে স্তরে স্তরে মোড়ানো ছিল। বক্সটিতে কী আছে, তা দেখার জন্য সবারই আগ্রহ ছিল। উপস্থিত সবাই বলল এত বড় বাক্স! ভক্ত কী দিল দেখি তো।  খুলে দেখা গেল ‘রাতের পর দিন’ সিনেমার মতো বড় দুটো ডাব। আরও অনেক মজার মজার কাণ্ড ঘটিয়েছে ভক্তরা। 

 সমকাল : শেষ কবে বিএফডিসিতে গিয়েছিলেন? 

ববিতা: গত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিয়ে গিয়েছিলাম। মাঝেমধ্যে খুব মনে পড়ে প্রিয় প্রতিষ্ঠান এফডিসির কথা। এখন তো চলচ্চিত্রের মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ কমে গেছে। গণমাধ্যমে যতটুকু খবর পাই সেটুকুই। এফডিসিতে যেতেও ইচ্ছে করে না। গেলে বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে। পুরোনো শুটিং ফ্লোরগুলো নেই। সেখানে বাণিজ্যিক ভবন হচ্ছে। ফ্লোরগুলো ঘিরে কত শত স্মৃতি রয়েছে। মাঝেমধ্যে অনুরোধে হঠাৎ গেলে দেখি, সেখানে টেলিভিশন অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপন চিত্রের শুটিং হচ্ছে। অথচ নেই চলচ্চিত্রের ব্যস্ততা।

সমকাল: সিনেমার অভিনয়ে আর ফিরবেন না?

ববিতা: পরিচালক ও প্রযোজকরা প্রায়ই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা বলেন। যেমন সিনেমা চাই, তেমন কোনো গল্প ও চরিত্র তো পাচ্ছি না। এ কারণে চলচ্চিত্রে ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়েছে। 
অনেকেই আপনার অভিনয়ের ভক্ত। আপনি কার অভিনয় পছন্দ করেন?
অমিতাভ বচ্চন আমার পছন্দের একজন অভিনেতা। দিলীপ কুমারের অভিনয়ও খুব ভালো লাগত। উত্তম-কুমার সুচিত্রা সেন তো অতুলনীয়। এর বাইরে রেখা ও মধুবালা পছন্দের অভিনয়শিল্পীর তালিকায় রয়েছেন। 
 

 
 

আরও পড়ুন

×