ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

তাদের তুলনায় আমার পারিশ্রমিক অনেক কম: আরশ

তাদের তুলনায় আমার পারিশ্রমিক অনেক কম: আরশ

আরশ খান। ছবি: ফেসবুক

রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩:২৮ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩:৫১

আরশ খান। তারকা অভিনেতা ও মডেল। সম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ব্যস্ত আছেন নতুন কিছু একক নাটকের কাজ নিয়ে। এই সময়ের ব্যস্ততা ও অভিনয় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

নতুন বছরে আপনার পরিকল্পনা কি?
এ বছর যেমনই কাটুক, নতুন বছর গুছিয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্বের সাড়া জাগানো সিনেমা, সিরিজগুলোয় যে ধরনের গল্প, চরিত্র উপস্থাপনে শিল্পীদের যে চিন্তাধারা এবং নির্মাণের ভিন্নতা আনার যে চেষ্টা, তা আমাদের কাজের মধ্যেও আনতে চাই। এর জন্য স্রোতের বিপরীতে চলতে হলেও পিছপা হব না। আমরা যারা অভিনয় জগতে কাজ করি, তাদের প্রথম লক্ষ্য দর্শককে আনন্দ দেওয়া ও কাজের মাধ্যমে তাদের মনে ছাপ রেখে যাওয়া। অনেক সময় দেখি, খুব হালকা গল্প যেখানে তেমন কোনো মেসেজ নেই, এমন নাটকও দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলছে। সেই সুবাদে অনেকে একই ধরনের কাজ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। এই মানসিকতার বদল না হলে সত্যি ভালো কিছু আশা করা কঠিন। তাই দর্শককে রুচিশীল করে তুলতে কাজের ধরন না বদলালেই নয়। 
 
কাজের কাজের ধরন কিভাবে বদলাবেন?

কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, যদি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখা যায়। মানছি, কোনো কিছুই রাতারাতি বদলে যাবে না। তাই বলে থেমে থাকারও মানে নেই। তাই প্রযোজক, পরিচালক না হয়েও নিজের জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি, অভিনীত নাটকগুলো একটু অন্যরকম করে তোলার। প্রোডাকশন ডিজাইনের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই এই সুযোগ নির্মাতাদের কাছ থেকেই আদায় করে নিতে হচ্ছে। এভাবেই একটু একটু করে একেকটি ধাপ অতিক্রমের মধ্য দিয়ে নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়িয়ে নিচ্ছি।

অভিনয়, নির্মাণ যাদের পেশা, তাদের সবার জন্যই কী ভালো কাজের সুযোগ আছে?

ভালো কাজের সুযোগ সবারই আছে, কিন্তু এর জন্য নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। নাচ-গান-অভিনয়ের মধ্য দিয়ে যারা পরিণত শিল্পী হয়ে উঠতে চান, তাদের সাধনা করতেই হবে। আর সাধনা মানেই প্রতিনিয়ত শেখা, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিরলস কাজ করে যাওয়া, নিজের ওপর বিশ্বাস আর ধৈর্য ধরে রাখা। কিন্তু এটা তো সহজ নয়। তাই অর্থ আর পরিচিতির মোহে যে যা পারছে, করে যাচ্ছে। তারপরও কিছু শিল্পী ও নির্মাতা আছেন, যাদের কখনও সস্তা জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসাতে দেখা যায়নি। মূলত তাদের জন্যই আমরা এখনও ভালো ও ব্যতিক্রমী কিছু আয়োজন দেখতে পাচ্ছি।

একের পর এক নাটকে অভিনয় করে যাচ্ছেন। এর সবই কী আপনার অভিনয় তৃষ্ণা মেটাতে পারবে বলে মনে করেন?
এ বছর যে কাজগুলো হতে নিয়েছি, তার সবই যে অভিনেতা সত্তাকে খুশি করার মতো– এমন দাবি করতে পারছি না। মাসে ৮-৯টি নাটকে অভিনয় করতে হলে, তা সম্ভব নয়। আসলে এই সময় যারা নিয়মিত অভিনয় করছেন, তাদের তুলনায় আমার পারিশ্রমিক অনেক কম। অনেকটা বাধ্য হয়েই ৮-৯টি নাটকে অভিনয় করতে হচ্ছে। তবে আগামীতে নির্দিষ্ট সংখ্যক কাজ করব। যাতে করে অন্যরকম কিছু করার সুযোগ পাই।    

এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। বিটিভির প্যাকেজ প্রিভিউ কমিটির সদস্য ছিলেন, হঠাৎ সেখান থেকে সরে এলেন?
চাইলে এই দায়িত্ব পালন করতে পারতাম। কিন্তু আমি চাই, আমার চেয়ে যোগ্য কেউ প্রিভিউ কমিটিতে থাকুক। এই চাওয়া সেদিন থেকে, যেদিন শিক্ষকতুল্য অভিনেতা আমাকে অভিনয়ের কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, নিজেরই তো অনেক কিছু শেখার বাকি, তাহলে আমি কেন প্রিভিউ কমিটির দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি। এই দায়িত্ব পালনের জন্য অভিনয় জগতে অনেক যোগ্য লোক রয়েছে, তাদেরই কারও দায়িত্বটা নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন

×