ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

তবুও আসে জন্মদিন...

তবুও আসে জন্মদিন...

কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন বিনোদন

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫ | ১৩:৫২ | আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ | ১৩:৫৬

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কুমার নিবিড়। সেই থেকে এখনও সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের আত্মজ। যাকে নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় কাটছে শিল্পীর একেকটি দিন। একমাত্র সন্তানের সুস্থতা কামনায় প্রহর গুনে চলেছেন তিনি। এর মাঝেই একে একে কেটে যাচ্ছে দিন, মাস, বছর। জীবন তবু থেমে থাকার নয়। সময়ের পরিক্রমায় উল্টে যাচ্ছে ক্যালেন্ডারের পাতা। এভাবেই বছর ঘুরে চলে এসেছে ১ জুন। ১৯৬৩ সালের যে দিনটিতে পৃথিবীতে এসেছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। শিল্পীর জন্য আরেকটি কষ্টের অভিজ্ঞতা হলো, যে মায়ের গর্ভে তাঁর জন্ম, স্নেহ ছায়াতলে বেড়ে ওঠা, প্রাণপ্রিয় সেই মাকেও হারিয়েছেন। যার উৎসাহ, প্রেরণায় গানের ভুবনে সমস্ত চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন, হয়ে উঠেছেন দেশের তুমুল জনপ্রিয় এক কণ্ঠশিল্পী, সেই মাকে ছাড়াই পাড়ি দিতে হচ্ছে জীবনের বাকিটা পথ। 

অনিন্দ্য গায়কী আর অনবদ্য সৃষ্টির কারণে কুমার বিশ্বজিৎ হয়ে উঠেছেন অগণিত সংগীতপ্রেমীর প্রিয় শিল্পী। যে কারণে তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে কৌতূহল থাকে অনেকের। শুভেচ্ছা, ভালোবাসায় সিক্ত করার পাশাপাশি জন্মদিন কীভাবে কাটাবেন, কোথায় যাবেন, কী করবেন– তা নিয়ে থাকে অনুরাগীদের নানা প্রশ্ন। অতীতে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ ছিল, এখন ভাবতে হয়, কী উত্তর দেবেন ভক্ত-অনুরাগীদের। কারণ নিজেই জানেন না, জন্মদিনটা কীভাবে কাটবে। তারপরও অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি বলেই মুখ খুলেছেন এই শিল্পী। জন্মদিন নিয়ে কোনো উচ্ছ্বাস না থাকলেও তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন নিবিড়ের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্য। 

বলেছেন, ‘‘জন্মদিন এলেই মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। কয়েক বছর আগে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। শেষ সময়টাতে এসে মাকে নিয়ে কোথাও বের হতে পারতাম না। কিন্তু মারা যাবার এক বছর বা দু’বছর আগে তাঁকে নিয়ে বের হয়েছিলাম ‘গরবিনী মা’ সম্মাননা অনুষ্ঠানে। ডা. আশীষ আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন। তারই আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে আমি মাকে নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। মা ‘গরবিনী মা’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। মায়ের মুখে ওইদিন যে হাসি দেখেছি তা এখনও আমার চোখে ভাসে। জন্মদিন এলেই আসলে মায়ের কথাই মনে পড়ে বেশি। জন্মদিন এলে আরও মনে হয়, হয়তো মায়ের কাছে যাবার সময় ঘনিয়ে আসছে। আমার কাছে সবসময়ই মনে হয় মানুষ বিশেষ ভ্রমণের জন্য পৃথিবীতে আসেন। কেউ কেউ সফল হন, কেউ কেউ হন না। আমি সফল কিনা জানি না। তবে আমার গান যদি আমি মরে যাবার পরেও শ্রোতা-দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকে সেটিই হবে আমার প্রাপ্তি। কী এক অদ্ভুত ভাবনা মানুষের, মরার পরেও বেঁচে থাকার বাসনা। হয়তো আমিও এমন করেই বেঁচে থাকব আমার গান দিয়ে, পৃথিবীতে ভ্রমণের সার্থকতা আমার হয়তো সেখানেই।’’

 এ কথার পাশাপাশি একটি স্বস্তির খবরও এসেছে কুমার বিশ্বজিতের কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন, কুমার নিবিড় এখন কিছুটা শঙ্কামুক্ত। তাই স্টেজ শোতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কানাডার টরন্টো থেকে তাঁর স্টেজ শো পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। এরপর ফ্রান্সের প্যারিস, নিউজিল্যান্ড, কাতার এবং অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ধারাবাহিক শো করবেন তিনি।
 

আরও পড়ুন

×