ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

'ওই কাজটি দিয়েই আমি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসি'

'ওই কাজটি দিয়েই আমি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসি'

মাসুমা রহমান নাবিলা

মাসুমা রহমান নাবিলা

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ | ০২:০৯ | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ | ০৩:১৮

অনেকে জানেন, 'আয়নাবাজি' আমার প্রথম ও এখন পর্যন্ত অভিনীত একমাত্র ছবি। যে ছবির মাধ্যমে আমি উপস্থাপকের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আমাকে দিয়ে যে অভিনয় সম্ভব- এই বিশ্বাস মনে গেঁথে দিয়েছেন পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী। তারচেয়ে বড় বিষয় 'আয়নাবাজি' ভাবতে শিখিয়েছে, পরিচয় বদলে কীভাবে সংস্কৃতি অঙ্গনের একেকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নতুন পরিচয়ে পথচলার সাহসও পেয়েছি এই নির্মাতার কাছে। সহজ কথায়, অমিতাভ রেজা চৌধুরী না থাকলে এই ছবিতে আমার অভিনয় করা সম্ভব হতো না। তিনি শুটিংয়ের আগেই আমাকে সব লোকেশনে নিয়ে গেছেন। এমনকি পুরান ঢাকার যে বাড়িতে আমার হূদি চরিত্রটিকে দেখানো হয়েছে, সেখানেও নিয়ে গেছেন। চঞ্চল চৌধুরীও আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। অভিনয়ের বিভিন্ন দিক তিনি আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, এমন একটি টিমের সঙ্গে কাজ করেছিলাম, যারা প্রত্যেকেই মনন এবং রুচিশীল মানুষ। তাই আয়নাবাজির সূত্র ধরেই অভিনয়ের অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে। এ ছবির পরও এই একই নির্মাতার সঙ্গে একাধিক কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। তাই আমি অভিনয় ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে 'আয়নাবাজি'র কথাই বলতে চাই।

আমি অভিনয় শুরু করেছিলাম, 'ফাইভ ফিমেল ফ্রেন্ডস' নামে একটি ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে। সেটা ছিল একান্ত শখের বসে অভিনয়। এ কারণে নিয়মিত অভিনয় নিয়ে আলাদা করে কখনও ভাবিনি। বড় পর্দায় কাজ করার কথা তো স্বপ্নেও ভাবিনি। এমন নয় যে, আয়নাবাজির আগে কোনো ছবিতে অভিনয় করার প্রস্তাব পাইনি। পেয়েছি, কিন্তু সেগুলোর গল্প আমার মনে নাড়া দেয়নি। আয়নাবাজির গল্প পড়ার পর এবং পরিচালক সাহস দেওয়ায় বড় পর্দায় কাজ করার উৎসাহ পেয়েছি। তখনও অনুমান করতে পারিনি, এই একটি ছবি আমাকে অভিনয়ের ভুবনে এতটা পরিচিতি এনে দেবে।

অভিনয়ে আসার আগে উপস্থাপনা ছিল আমার ধ্যান-জ্ঞান। এখনও এই পরিচয় বড় করে দেখি। তারপরও অনেকে যখন আমাকে আয়নাবাজির নাবিলা বলে থাকেন, তখন অভিনেত্রীর পরিচয়টাও খাটো করে দেখার সুযোগ থাকে না। কারণ, ভালো কাজ মানুষকে যেমন নন্দিত করে, তেমননি পরিচয় বদলে দিতেও ভূমিকা রাখে। আমার জন্য 'আয়নাবাজি' তেমনই একটি কাজ, যার মাধ্যমে উপস্থাপকের পাশাপাশি অভিনেত্রীর পরিচয় যুক্ত হয়েছে। প্রেরণা জুগিয়েছে আরও নতুন কিছু করে দেখানোর। তাই লকডাউনের সময়ে যখন আয়নাবাজির চরিত্রগুলো নিয়ে নতুন করে অরিজিনাল সিরিজ তৈরি করার কথা বলা হলো, তখন মনে হয়েছে, আমার হৃদি চরিত্রের আবেদন দর্শকের কাছে এখনও ফুরিয়ে যায়নি। দর্শক জানতে চান, সিনেমার হৃদি এখন কী করছে, কেমন আছে- এমন অনেক বিষয়।

'ঘরে বসে আয়ানবাজি' সিরিজ প্রকাশের পর দেখা গেল, আমার ধারণা মিথ্যা নয়, দর্শক এখনও ছবির চরিত্রগুলোকে মনে রেখেছেন। ভুলে যাননি আমার হৃদি চরিত্রের কথাও।

আরও পড়ুন

×