কিংবদন্তির নাম কবরী

তারিক আনাম খান
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২১ | ১২:০০
সুতরাং...সুতরাং তার বিদায়।
এখন শুধুই 'স্মৃতিটুকু থাক'।
'সুতরাং'-এর জরিনা আমাদের কিশোর বয়সে বুকে ঝড় তোলা সেই চোখ। সেই সময়ে শয়নে স্বপনে তাকেই দেখি। সেই জরিনার মৃত্যুতে তখন কেঁদেছিলাম। আর আজ... 'চক্ষের পানিও য্যান শুকাইয়া গেছে'!... খুব সম্ভবত 'লাল সবুজের পালা' ছবির সংলাপ।
'লাল সবুজের পালা' আমার অভিনীত প্রথম ছবি, পরিচালক সৈয়দ হাসান ইমাম। শুটিংয়ে গিয়ে হঠাৎ আমাকে নায়ক বানালেন হাসান ভাই। নায়িকা কবরী! আমার তখন 'ধরণী দ্বিধা হও... তোমার মধ্যে প্রবিষ্ট হই' অবস্থা। তার সঙ্গে প্রথম শুটিংয়ে ভীষণ আড়ষ্ট আমি। শুটিংয়ে আমাকে এমন মিষ্টি করে বলতে লাগলেন- 'এই যে কাছে আসেন, এইটা এভাবে করেন, ওভাবে বলেন; কোলে তুলতে পারবেন তো ...'। তিনি বলেন আর আমি তার চোখের দিকে অনিমেষ তাকিয়ে থাকি- আহ্! বাংলাদেশ টেলিভিশনে আমার প্রথম ধারাবাহিক 'মাটির কোলে'। এই ধারাবাহিক নাটকের প্রযোজক ছিলেন মুসা আহমেদ। এই নাটকেও আমার সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়িকা কবরী। তদ্দিনে আমি অনেকটাই সহজ তার সঙ্গে। তিনিও সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন- 'না, আপনি তো ভালোই করেন।' ব্যস, আমাকে আর পায় কে!
নোবেল বিজয়ী পার্ল এস বাক-এর 'গুড আর্থ' অবলম্বনে 'মাটির কোলে' নাটকে কবরী যেন সেই সর্বংসহা ধরিত্রীর মতো, যে মাটি খরায় চৌচির হয়ে গেলে পানি ঢালতেই থাকে। সন্তান জন্ম দেয় আর লালন করে। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। আহ্, কী সেই দৃষ্টি!
সেই সময় গ্রামে-গঞ্জে আমার পরিচয় হলো 'ওই যে কুবরীর নাটক করে'! তাইতো বলা হয়, এক কিংবদন্তির নাম কবরী। অসাধারণ অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। কবরী তার অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে মানুষকে যতটা প্রভাবিত করেছেন; বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তেমনটা আর কেউ পারেননি। তাই তো তিনি হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষের অভিনেত্রী।
কবরী এই মাটির, এই বাংলার। তার চোখ যেন বাংলার পাখি; শরীর যেন বাংলার মাটি আর জল। তাই তো '৭১-এও তাকে দেখি বাংলার পাশে- প্রবলভাবে, সংগ্রামে।
কিন্তু তাকে তো বলা হয়নি এসব কথা!
তাই কি কষ্ট হচ্ছে অনেক? এত প্রার্থনা করলাম, তবুও তিনি ফিরলেন না!
তবে দেখা তো হবে একদিন, তখন বলব জমানো কথা। বাংলার মাটিতে শান্তিতে ঘুমান বাংলার মিষ্টি মেয়ে।
এখন শুধুই 'স্মৃতিটুকু থাক'।
'সুতরাং'-এর জরিনা আমাদের কিশোর বয়সে বুকে ঝড় তোলা সেই চোখ। সেই সময়ে শয়নে স্বপনে তাকেই দেখি। সেই জরিনার মৃত্যুতে তখন কেঁদেছিলাম। আর আজ... 'চক্ষের পানিও য্যান শুকাইয়া গেছে'!... খুব সম্ভবত 'লাল সবুজের পালা' ছবির সংলাপ।
'লাল সবুজের পালা' আমার অভিনীত প্রথম ছবি, পরিচালক সৈয়দ হাসান ইমাম। শুটিংয়ে গিয়ে হঠাৎ আমাকে নায়ক বানালেন হাসান ভাই। নায়িকা কবরী! আমার তখন 'ধরণী দ্বিধা হও... তোমার মধ্যে প্রবিষ্ট হই' অবস্থা। তার সঙ্গে প্রথম শুটিংয়ে ভীষণ আড়ষ্ট আমি। শুটিংয়ে আমাকে এমন মিষ্টি করে বলতে লাগলেন- 'এই যে কাছে আসেন, এইটা এভাবে করেন, ওভাবে বলেন; কোলে তুলতে পারবেন তো ...'। তিনি বলেন আর আমি তার চোখের দিকে অনিমেষ তাকিয়ে থাকি- আহ্! বাংলাদেশ টেলিভিশনে আমার প্রথম ধারাবাহিক 'মাটির কোলে'। এই ধারাবাহিক নাটকের প্রযোজক ছিলেন মুসা আহমেদ। এই নাটকেও আমার সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়িকা কবরী। তদ্দিনে আমি অনেকটাই সহজ তার সঙ্গে। তিনিও সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন- 'না, আপনি তো ভালোই করেন।' ব্যস, আমাকে আর পায় কে!
নোবেল বিজয়ী পার্ল এস বাক-এর 'গুড আর্থ' অবলম্বনে 'মাটির কোলে' নাটকে কবরী যেন সেই সর্বংসহা ধরিত্রীর মতো, যে মাটি খরায় চৌচির হয়ে গেলে পানি ঢালতেই থাকে। সন্তান জন্ম দেয় আর লালন করে। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। আহ্, কী সেই দৃষ্টি!
সেই সময় গ্রামে-গঞ্জে আমার পরিচয় হলো 'ওই যে কুবরীর নাটক করে'! তাইতো বলা হয়, এক কিংবদন্তির নাম কবরী। অসাধারণ অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। কবরী তার অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে মানুষকে যতটা প্রভাবিত করেছেন; বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তেমনটা আর কেউ পারেননি। তাই তো তিনি হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষের অভিনেত্রী।
কবরী এই মাটির, এই বাংলার। তার চোখ যেন বাংলার পাখি; শরীর যেন বাংলার মাটি আর জল। তাই তো '৭১-এও তাকে দেখি বাংলার পাশে- প্রবলভাবে, সংগ্রামে।
কিন্তু তাকে তো বলা হয়নি এসব কথা!
তাই কি কষ্ট হচ্ছে অনেক? এত প্রার্থনা করলাম, তবুও তিনি ফিরলেন না!
তবে দেখা তো হবে একদিন, তখন বলব জমানো কথা। বাংলার মাটিতে শান্তিতে ঘুমান বাংলার মিষ্টি মেয়ে।